শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ১৩ আগস্ট, ২০২২

আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ অবরুদ্ধ

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি পৌর বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদকে ধরতে গিয়ে স্থানীয় জনতার রোষানলে পড়েছে শ্রীপুর থানার পুলিশ। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকেন উপপরিদর্শক মো. মামুনুর রশিদ ও আবদুর রাজ্জাক। স্থানীয় জনতা ও কালামের লোকজন তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। অতিরিক্ত পুলিশ এসে রাত ১০টার দিকে তাদের উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করে আবুল কালামকে। এই ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামের গাড়োপাড়া এলাকায়।

গ্রেপ্তাররা আবুল কালাম আজাদ ওই গ্রামের সাফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌর বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক। বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক অপারেশন আনিছুর আশেকিন বলেন, সে ২০১৯ সালের শ্রীপুর থানার ২৩(৪)১৯নং মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, কালাম বাড়িতে আছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে অভিযান চালায়। এ সময় কালামের লোকজন পুলিশের কাজে বাধা দেয়। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মামুনুর রশিদকে। এক পর্যায়ে পুলিশ নিরাপত্তার জন্য কালামকে নিয়ে একটি সেলুনে আশ্রয় নেয়। কালামের লোকজন পুলিশকে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে শ্রীপুর থানার দুই এসআইকে উদ্ধার করে এবং কালামকে গ্রেপ্তার করে।

স্থানীয়রা জানান, সাদা পোশাকে দুজন লোক কিছু না বলে বাড়ি থেকে কালামকে টানা হ্যাঁচরা করে নিয়ে যেতে চায়। সাদা পোশাকে থাকায় তাদের চেনা যায়নি। কোথায় নিচ্ছেন? কেন নিচ্ছেন? জানতে চাইলে ওই দুই ব্যক্তি কালামকে মারধর শুরু করে। ভুয়া পুলিশ মনে করে স্থানীয়রা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।

কালামের স্ত্রী পারভীন বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ। পুলিশ তাকে মারধর করে বিবস্ত্র করে ফেলে। স্বামীকে রক্ষা করতে গেলে পুলিশ আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এলাকাবাসীর বাধার মুখে পুলিশ কালামকে পাসের একটি সেলুনে নিয়ে আটক করে মারধর করে।।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. রমিজ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পাই পুলিশ কালামকে আটক করেছে। পুলিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত আজিজুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি কালামকে গ্রেপ্তার করতে গেলে লোকজন পুলিশের কাজে বাধা দেয়। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় এবং মাদক দ্রব্য রাখার অপরাধে তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close