সংসদ প্রতিবেদক

  ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

গোপালগঞ্জ অ্যাসেন্সিয়াল ড্রাগস

এক যুগেও শেষ হয়নি প্রকল্পের কাজ

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর জীবন রক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদনে গোপালগঞ্জে একটি কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয় অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। ২০১১ সালে এ সংক্রান্ত প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। তিন বছরমেয়াদি এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ ২০১৫ সালে শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। ৫ দফা বৃদ্ধি করার পর সবশেষ নির্ধারিত মেয়াদ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। কিন্তু এক যুগেও প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গোপালগঞ্জ অ্যাসেন্সিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সংসদীয় কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, জাহিদ মালেক, সৈয়দা জাকিয়া নূর, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আবদুল আজিজ, মো. তৌহিদুজ্জামান ও মো. হামিদুল হক খন্দকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বৈঠকে উত্থাপিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০১১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত ‘গোপালগঞ্জ অ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের তৃতীয় শাখা কারখানা স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ ২০১৫ সালে শুরু হয়। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পটিতে চারটি ইউনিট থাকবে। যার একটিতে তৈরি হবে পেনিসিলিন ও অন্যটিতে হরমোন ইনজেকশন ও জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি। তৃতীয়টিতে স্যালাইন ও চতুর্থটিতে আয়রন ট্যাবলেট। এ প্রকল্পটি চালু হলে এখানে আনুমানিক ৭৭৮ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয় শতভাগ ওষুধ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এখনো প্রকল্পের কাজ করা যায়নি। জানা গেছে, চারবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। এরপরও কাজ শেষ না হওয়ায় একনেক সভায় সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদনের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু এখনো সেই কাজ শেষ হয়নি। বরং প্রকল্প মূল্যায়নে অসন্তুষ্টি জানিয়েছে, পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। তারা বলছে, প্রকল্পটি শুরুর আগে যথাযথ ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়নি। ফলে জমি অধিগ্রহণ, ভৌত কাজ, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও স্থাপনের ধীরগতিতে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বেড়েছে।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে দ্রুত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন এবং এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া অ্যাসেন্সিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের ভ্যাকসিন প্রস্তুত কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম কমিটিতে উপস্থাপন করা হয় এবং সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সুপারিশ করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close