সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে থানায় ঢুকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের ওপর হামলার অভিযোগে অপর প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

শুক্রবার (৩ মে) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এই নোটিশ দেন। নোটিশে আগামী দুদিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা পরিষদ বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির সমান অধিকার থাকবে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। একইসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অর্থ, অস্ত্র ও পেশি শক্তি কিংবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে না।

নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, কিন্তু আমিনুল ইসলাম সরকারের পক্ষে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য প্রভাব বিস্তার করছেন জানিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া গত ১ মে আমিনুল ইসলাম বেলকুচি থানার ভেতরে ঢুকে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জনাব মো. বদিউজ্জামান ফকিরের ওপর আক্রমণ করেন। এ বিষয়ে বদিউজ্জামান ফকির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালার পরিপন্থি। এ অবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা দুই দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।