নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ মে, ২০২৪

স্বস্তির বৃষ্টিতে কমেছে তাপমাত্রা

রামুতে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

তাপপ্রবাহের পর রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গত বৃহস্পতিবার দিন ও রাতে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। এতে খুলনা ছাড়া দেশের প্রায় সবখানেই গতকাল শুক্রবার তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। এদিন রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন পর অস্বাভাবিক গরম থেকে কিছুটা সহনীয় তাপমাত্রা অনুভব করছে মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শনিবারও তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামীকাল রবিবার তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে। পরদিন সোমবার অবশ্য তাপমাত্রা অনেকটা কমে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস। এপ্রিলজুড়ে তাপপ্রবাহের ধারা চলতি মে মাসের শুরু থেকেও আছে। তবে দুদিন আগে থেকে দেশের কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় রাজধানীতে প্রচণ্ড শব্দে মেঘ ডাকতে শুরু করে, সঙ্গে ছিল বিদ্যুতের ঝলকানি। এরপর বৃষ্টি শুরু হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রাজধানীতে বৃহস্পতিবার ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এর আগে রাজধানীতে সর্বশেষ বৃষ্টি হয়েছিল ১৭ এপ্রিল, তা-ও মাত্র ১ মিলিমিটার। বৃহস্পতিবার দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় রাঙামাটিতে ৬৭ মিলিমিটার।

এছাড়া ফেনীতে ৩১ মিলিমিটার, কুমিল্লায় ২৪ ও সন্দ্বীপে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের আরো কয়েকটি স্থানে এবং সিলেটেও বৃষ্টি হয়। এ বৃষ্টির ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা গতকাল কমেছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক। তিনি বলেন, পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো ছাড়া আজ (শুক্রবার) দেশের প্রায় সবখানে তাপমাত্রা কমেছে। বরিশাল বিভাগে তাপমাত্রা আগের দিনের মতোই আছে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একই রকম ছিল, তবে তা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। শুক্রবার রাজধানীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর এর আগে জানিয়েছিল, রবিবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

কক্সবাজার রামুতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে উপাধ্যক্ষ মাওলানা ছালামত উল্লাহ মারা গেছেন। শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি কক্সবাজারের রামু উপজেলার মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার উপাধ্যক্ষ এবং কক্সবাজার শহরের কলাতলীর বাসিন্দা। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও তার পরিবার গণমাধ্যমে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল রামুর মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় যাওয়ার পথে রামুর চৌমুহনী এলাকায় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রামে রেফার করেন। সেখানে ৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close