যশোরের বেনাপোল বন্দরে তীব্র গরমে খালাসের অপেক্ষায় থাকা ভারত থেকে আমদানি করা ৩৭০ টন আলু পচতে শুরু করেছে। এসব আলু চিপস তৈরিতে রংপুরের বেভারেজ কোম্পানিতে নেওয়া হবে জানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি। দ্রুত খালাস না হলে আলুগুলো খাওয়ার অযোগ্য হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল রাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৬ ট্রাকে ৩৭০ টন আলু আমদানি হয়।

তবে আমদানি করা আলু ২০০ কিলোমিটার দূরে থেকে লোড করে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ছয় দিন লেগে যায়। বন্দর থেকে তিন দিনেও আলু খালাস না হওয়ায় তীব্র গরমে ট্রাকে থাকা আলু পচে রস পড়তে দেখা গেছে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আমদানিকারকের স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেডের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ জানান, চিপস তৈরির জন্য ভারত থেকে ১৬ ট্রাকে ৩৭০ টন আলু আমদানি করা হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় এখনো বন্দর থেকে খালাস নিতে পারেনি। কাগজপত্র এলেই খালাস হবে। বর্তমানে ভারতীয় ট্রাক থেকে এ আলু বাংলাদেশি ট্রাকে লোড করে রাখা হয়েছে। আলুবাহী ট্রাকচালক শাহাদৎ হোসেন জানান, তারা ভারতীয় ট্রাক থেকে আলু খালাস করে রংপুরে নিয়ে যাবেন। কিন্তু খালাস না হওয়ায় গরমে বন্দরেই ট্রাকে আলু পচতে শুরু করেছে। দ্রুত খালাস না হলে এগুলো আরো নষ্ট হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্তু কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে ৩৭০ টন আলু আমদানি হয়েছে। এসব আলু মান পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম এ বিষয়ে বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৬টি ট্রাকে ৩৭০ টন আলু আমদানি হয়েছে। আলুর চালানটি এখনো বন্দরে রয়েছে। দ্রুত ছাড়করণের জন্য আমদানিকারকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

"