নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির অ্যাডভোকেসি সভা

১২৬ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু জ্বর

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) সহযোগিতায় এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে এ সচেতনতামূলক অ্যাডভোকেসি সভা হয়েছে। মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে অবহিতকরণের মাধ্যমে এডিস মশা এবং ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমে সবার অংশগ্রহণের উদ্দেশে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভার শুরুতে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল, বংশবিস্তার, রোগ-জীবাণু বহন, মানুষকে আক্রান্ত করাসহ বিশ্বে ডেঙ্গু রোগের সামগ্রিক চিত্র ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে দেখানো হয়। এতে বলা হয়, ১২৬টি দেশে এরই মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে ২৫০ কোটির অধিক মানুষ অর্থাৎ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের মধ্যে ১০টি দেশেই ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে, এসব দেশে প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

সিডিসির এ উপস্থাপনায় আরো বলা হয়, গত আগস্ট মাসে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। সারা দেশে এ এক মাসেই প্রায় ৫৩ হাজার রোগী ভর্তির রেকর্ড করা হয়, যার অধিকাংশই ছিল রাজধানীতে। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব সর্বাধিক ছিল এবং ধারণা করা হচ্ছে এ বছরও একই সময়ে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে।

অ্যাডভোকেসি সভায় এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বিভিন্ন কার্যক্রম পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার। তিনি এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ২০১৯ সালে ডিএনসিসির সামগ্রিক কার্যক্রম এবং ২০২০ সালে চলমান ও আসন্ন এডিস মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ রোগ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নাই। সে লক্ষ্যে আমরা গত বছর বিভিন্ন আঞ্চলিক ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে একাধিক অবহিতকরণ সভা, সচেতনতামূলক পদযাত্রা ও পথসভা, বাউল সংগীত, গণবিজ্ঞপ্তি, সচেতনতামূলক বার্তা, টেলিভিশনে টিভিসি প্রচার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এছাড়া ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জাতীয় পত্রিকার সম্পাদক ও টেলিভিশন মালিক ও বার্তা প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন, যা এ বছরও অব্যাহত থাকবে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার আরো জানান, গত বছর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া যায়। গত বছর শিক্ষার্থীরা নিজেদের বাসাবাড়ি পরিষ্কার করার পাশাপাশি প্রতিবেশীর বাসাবাড়িও পরিদর্শন করে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করেছে। আমরা এবারও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একই কার্যক্রম প্রত্যাশা করছি। এছাড়া মেয়রের নেতৃত্বে ডিএনসিসির সব বিভাগ ও ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে আমরা ‘চিরুনি অভিযান’ পরিচালনা করি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close