ক্রীড়া ডেস্ক
ইতিহাসের সামনে ভারত
শ্রীলঙ্কায় নতুন এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ভারত। আরেকটা টেস্ট জিতলেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পাবে টিম ইন্ডিয়া। তবে ভারতের হোয়াইটওয়াশ স্বপ্নের সামনে এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অপয়া বৃষ্টি। ক্যান্ডি এবং পাল্লেকেলেতে বৃষ্টি হচ্ছে। অর্থাৎ, ৩-০ হোয়াইটওয়াশের রাস্তায় অশনিসংকেত। এমনিতেই ক্যান্ডিতে বরাবর টেস্ট ম্যাচ সম্পূর্ণ হওয়ার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। এখন ক্যান্ডিতে ম্যাচ হয় না, হয় পাল্লেকেলের নতুন মাঠে। যেটা কি না ক্যান্ডি থেকে ৪৫ মিনিটের পথ। দুটি জায়গায় আবহাওয়ার খুব অদলবদল হবে বলে মনে হয় না।
কোহলিরা এর মধ্যেই বুঝতে পারছেন, বিদেশে প্রথমবার কোনো তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের সামনে দাঁড়িয়ে একমাত্র বাধা হতে পারে বৃষ্টিই। তবে যদি পাঁচ দিন পুরো খেলা হয় তবে বিরাট কোহলির দলকে হোয়াইটওয়াশ বঞ্চিত করা খুব কঠিন হবে লঙ্কানদের জন্য। তবে এই সিরিজে সব শ্রীলঙ্কা মরণ কামড় দেওয়ার চেষ্টা করবেই। তা সে যতই তারা সিরিজ হেরে গিয়ে থাকুক এবং দেশজুড়ে সমালোচনা চলতে থাকুক। চান্ডিমালদের দুর্ভাগ্য যে, প্রধান তিন ক্রিকেটারই চোট পেয়ে বাইরে চলে গিয়েছেন। বাঁহাতি স্পিনার এবং এক নম্বর বোলিং অস্ত্র রঙ্গনা হেরাথ, প্রধান মিডিয়াম পেসার নুয়ান প্রদীপ এবং নতুন ব্যাটিং সম্ভাবনা আসেলা গুনারতেœ। পাল্লেকেলের সবুজ মাঠে কী ধরনের পিচ শ্রীলঙ্কা তৈরি করে, সেটা নিয়ে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট মহলে অনেকের মত, রঙ্গনার ওপর আস্থা রেখে পুরোপুরি ঘূর্ণি বানানো উচিত ছিল প্রথম থেকে।
তবে ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের জন্য দুই পেসার দুশমন্থ চামিরা ও লাহিরু গামাগেকে দলে ডেকেছে শ্রীলঙ্কা। গলে প্রথম টেস্টে অভিষেক হওয়া ব্যাটসম্যান দানুশকা গুনাথিলকা পরের টেস্টে একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন। এরপর দল থেকেই বাদ পড়ে গেলেন।
"