ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৪ মার্চ, ২০২৪

টি-টোয়েন্টিতে আরো উন্নতি চান শান্ত

বিপিএল চলার মাঝপথেই বাংলাদেশের তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। নেতৃত্ব পেয়েই ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণের জন্য আলাদাভাবে পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্য নিয়ে খেলার মতো মানসিকতা, ওয়ানডেতে শিরোপা আর টি-টোয়েন্টিতে উন্নতি চান তরুণ এ অধিনায়ক। বিশ্বকাপের আগ থেকেই অবশ্য নেতৃত্বের লাইমলাইটে আসেন শান্ত। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন তিনি। এরপর বিশ্বকাপে তখনকার নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ইনজুরির কারণে না খেলায় ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় শান্তকে।

বিশ্বকাপ শেষে তিন সংস্করণের অধিনায়ক সাকিব ইনজুরিতে সময় পার করেন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যান। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেন শান্ত। এ দলটির বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি টেস্টেও নেতৃত্ব দেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে শান্তর ভাবনা, ‘ওয়ানডেতে আমরা মাশাআল্লাহ ভালো করতেছি। আমার কাছে মনে হয় দল হিসেবে আমরা বড় কোনো টুর্নামেন্ট পাইনি (শিরোপা)। ওই পরিকল্পনা নিয়ে আগাব- আমরা কীভাবে বড় টুর্নামেন্টে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি বা দেশের হয়ে একটা ট্রফি নিয়ে আসতে পারি।’

ক্রিকেটে আরো উন্নতি চেয়ে তিনি জানান, ‘টি-টোয়েন্টিতে গত বছর ভালো গেছে। আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে আমার মনে হয়। আমরা যদি আরো কিছু জায়গায় উন্নতি করি- তাহলে মনে হবে যে যেকোনো দলের বিপক্ষে যেকোনো কন্ডিশনে আমরা ভালো খেলছি। দিনের পর দিন খেলাগুলো যখন শুরু হবে তখন পরিকল্পনা আরো পরিষ্কার হবে।’ সাম্প্রতিক সময়ে নেতৃত্ব দিয়ে বেশ সফল শান্ত। নিউজিল্যান্ড সফরে একটি টি-টোয়েন্টি জিতে তারই অধীনে সিরিজ ড্র (একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়) করে বাংলাদেশ। এরপর একটি ওয়ানডেও সেখানে জিতে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে একটি টেস্ট ম্যাচও জিতেছেন অধিনায়ক শান্ত। লাল বলের ক্রিকেট বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে তার কাছে। শান্ত আরো বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে আমার মনে হয় না যে আমরা খুব উন্নতি করেছি। আগে যে অবস্থায় ছিলাম তার থেকে ভালো খেলা শুরু হয়েছে। তবে এখন যে জিনিসটা আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই যে, হোমে যখন আমাদের ম্যাচগুলো হবে ওই ম্যাচগুলোর ম্যক্সিমামটা যেন আমরা জিততে পারি। টেস্ট খেলার যে গুরুত্বটা এটা যেন সবার মধ্যে আরো ভালোভাবে তৈরি হয়। আমরা যখন দেশের বাইরে যাব, বাইরের দলগুলোর সঙ্গে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।’

এদিকে এ ম্যাচের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যুক্ত হবে ‘শান্ত অধ্যায়’। ম্যাচের আগে তাই স্বাভাবিকভাবেই কথা উঠেছে শান্তর চলমান অফফর্ম নিয়ে। শান্তও মনে করিয়ে দিয়েছেন রানে ফিরতে বদ্ধ পরিকর তিনি।

বিপিএলের সর্বশেষ মৌসুমে প্রয়োজনে কখনো উইকেটে থিতু হয়ে পড়েছিলেন আবার কখনো আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়ে অবদান রেখেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অথচ এবারের বিপিএলে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। গত মৌসুমে তাওহিদ হৃদয়, জাকির হাসানদের সঙ্গে সমানতালে পারফর্ম করেছিলেন শান্ত। তাদের তিনজনের ব্যাটেই মূলত নিজেদের প্রথম মৌসুমেই ফাইনাল খেলেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। দারুণ পারফর্ম করা শান্তকে তাই সরাসরি চুক্তিতে রেখে দেয় মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। তবে সিলেটের প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি শান্ত।

সিলেটের প্রথম আসরে ৫১৬ রান করে বিপিএল সেরা হলেও এবারে শান্তর ব্যাটে ছন্দ ছিল না। গ্রুপ পর্বের ১২টি ম্যাচ খেলে ১৪.৫৮ গড় এবং ৯৩.৫৮ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ১৭৫ রান করেন বাঁহাতি এ ওপেনার। জাতীয় দলে অবশ্যই সেই চিত্র বদলে ফেলতে চাইবেন নয়া অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক না থাকলেও রান করতে হবে। অধিনায়ক হলে যে আলাদাভাবে রান করতে হবে এরকম কিছু না। আমার কাছে মনে হয় যে, সবার আগে আমি একজন ব্যাটসম্যান। আমার কাজ দলের হয়ে রান করা, যখন আমি ব্যাটিং করব। তারপরে আমার যে দায়িত্ব আছে সেটা আমি ব্যবহার করব মাঠে বা মাঠের বাইরে যেগুলো আছে।’ আলাদা করে দেখছি না যে আমি অধিনায়ক তাই ব্যাটিংয়ে আমার আলাদা করে কিছু করা লাগবে শুধু আমি যখন ব্যাটিং করব আমার দায়িত্বটা কী, এটা আমি শুধু পালন করার চেষ্টা করব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close