ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৮ আগস্ট, ২০২০

উদ্বিগ্ন, তবে আতঙ্কিত নন জেমি ডে

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের অনুশীলনে ডাক পাওয়া ফুটবলারদের মধ্যে যে ২৪ জনের প্রথম দুই দিনে ক্যাম্পে ওঠার কথা ছিল, তাদের মধ্যে ১১ জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। জাতীয় দলের ফুটবলারদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের হার ৪৫.৮৩ শতাংশ, ভাবা যায়?

অথচ প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ফুটবলাররা যে যার বাড়িতে অবস্থান করেছেন। আর কোচ জেমি ডে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সবার শরীরচর্চা ও খাওয়া-দাওয়া পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারপরও তাদের প্রায় অর্ধেকই করোনা পজিটিভ! বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তাদের। এখন সবাই তাকিয়ে আজ শনিবারের দিকে। কারণ, আজই জাতীয় দলের সাত সিনিয়র খেলোয়াড় রিপোর্ট করবেন। তারা হলেন তৌহিদুল আলম সবুজ, মামুনুল ইসলাম মামুন, তপু বর্মন, আশরাফুল ইসলাম রানা, রায়হান হাসান, নাবিব নেওয়াজ জীবন ও ইয়াসিন খান। তাদের পরীক্ষা করার পর জানা যাবে ৩১ ফুটবলারের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কতজন উঠতে পারেন ক্যাম্পে।

প্রাথমিকভাবে ডাকা ৩৬ জনের মধ্যে তিনজনকে ক্যাম্পে ছাড়েনি তাদের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। জামাল ভূঁইয়া ও তারিক রায়হান ইউরোপ থেকে আসতে পারছেন না ফ্লাইট জটিলতার কারণে। কোচ জেমি ডের হাতে থাকা ৩১ জনের মধ্যে থেকে ইতোমধ্যে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত। আজ সাতজনের মধ্যে কারো পজিটিভ ফল এলে জেমির কপালের দুশ্চিন্তার ভাঁজটা আরো মোটা হওয়ারই কথা। তবে শিষ্যদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও এখনই আতঙ্কিত হচ্ছেন না তিনি। তার মতে, হাতে অনেক সময় আছে। এর মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে ফিরবেÑ এ প্রত্যাশা নিয়েই অপেক্ষা করবেন এই ইংলিশ কোচ।

আপনার ২৪ খেলোয়াড়ের মধ্যে ১১ জনেরই করোনা পজিটিভ। পরিস্থিতি বলছে আরো বাড়ার শঙ্কা আছে। নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তায় আছেন? লন্ডনে অবস্থানরত জেমির উত্তর, ‘আসলে আমি এমনটি আঁচ করেছিলাম। কারণ, বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো নয়। অবশ্যই এটা খারাপ খবর। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।’

প্রায় অর্ধেক ফুটবলারের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। তারপরও আতঙ্কিত নন কেন? জেমির জবাব, ‘আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে। এর মধ্যে অনেকে করোনাভাইরাসমুক্ত হয়ে ফিরবে বলেই বিশ্বাস আমার। ভালো দিক হলো করোনা পজিটিভ হলেও কারো মধ্যেই কোনো উপসর্গ নেই।’

এমন হতে পারে আশঙ্কা করেই বেশি খেলোয়াড় ডেকেছিলেন উল্লেখ করে জেমি ডে আরো বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ থেকে আমরা এখনো ১০ সপ্তাহ দূরে। আমাদের জন্য ছয় সপ্তাহ প্রয়োজন হবে খেলোয়াড়দের ফিট করতে। তাই আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে খেলোয়াড়রা সুস্থ হয়ে ফিরতে পারবে।’

এ অবস্থায় নতুন কিছু খেলোয়াড় ডাকবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দরকার হবে না। কারণ, কাউকে ডাকলে তাদেরও একই অবস্থা হতে পারে। তা ছাড়া আমি খুবই আশাবাদী যে, পজিটিভ হওয়া ফুটবলাররা তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’

এ পর্যন্ত যারা করোনা পজিটিভ

বিশ্বনাথ ঘোষ, নাজমুল ইসলাম রাসেল, সুমন রেজা, ম্যাথিউস বাবলু, রবিউল হাসান, আনিসুর রহমান জিকু, শহিদুল আলম সোহেল, সোহেল রানা, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সুশান্ত ত্রিপুরা ও টুটুল হোসেন বাদশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close