বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় দলগুলোর অবস্থান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবধান দেখে সমর্থন দিতে হচ্ছে টাইগারভক্তদের। যেমনÑ ধরুন, কালকের নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচে বেশির ভাগ বাংলাদেশিই ছিলেন কিউইদের পক্ষে। পরশু আবার ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে সমর্থন জুগিয়েছেন অজিদের। কেন উইলিয়ামসনের দল টেবিলের দুইয়ে ছিল (১১ পয়েন্ট), এ ম্যাচ ছাড়াও হাতে রয়েছে আরো দুটি ম্যাচ। এর মধ্যে অন্তত এক ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত নিউজিল্যান্ডের। বাংলাদেশ তাই কোনো অবস্থাতেই নিউজিল্যান্ডকে ধরতে পারবে না। তবে পাকিস্তান জিতলে সেমিতে ওঠার দৌড়ে পিছিয়ে পড়বে ম্যাশবাহিনী। গতকাল বুধবার বাংলাদেশের সমর্থকরা তাই নিউজিল্যান্ডকে সমর্থন দিলেও আগে ব্যাট করতে নেমে দলটি কিন্তু ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল!

বার্মিংহামের এজবাস্টনে বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে। মাথার ওপরেও ভর করেছিল কালো মেঘ। কিউই অধিনায়ক কেন, উইলিয়ামসনের মধ্যে টস জিতে কেন আগে ব্যাটিং করলেন, সে প্রশ্ন থাকবে। অবশ্য খেসারতও দিতে হয়েছে ভালোই। টপ-অর্ডারের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন দলীয় সংগ্রহ ১০০ রানের কোটা ছোঁয়ার আগেই। সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েই ব্যাটিং বীরত্ব দেখালেন দুই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের দৃষ্টিনন্দন জুটিতে শেষ পর্যন্ত উঠে দাঁড়িয়ে পুরো ৫০ ওভারই খেলতে পেরেছে নিউজিল্যান্ড; সংগ্রহটাও হয়েছে লড়াই করার মতো, ৬ উইকেটে ২৩৭।

ষষ্ঠ উইকেটে ১২৮ বলে ১৩২ রানের জুটি গড়েন নিশাম। গ্র্যান্ডহোম ৬৪ রান করে ফিরলেও নিশাম খেলেছেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। সেঞ্চুরির সুবাস ছড়িয়ে অপরাজিত ছিলেন ৯৭ রানে। এজবাস্টনের বাইশ গজ শুরু থেকেই পেসারদের সহায়তা করেছে। মজার ব্যাপার, লেগ স্পিনার শাদাব খানও উইকেট থেকে ভালোই বাঁক পেয়েছেন। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ফিরিয়েছেন কিউইদের ‘বিগ ফিশ’ উইলিয়ামসনকে (৪১)। কিউইদের সংগ্রহ তখন ২৬.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৩। উইকেট কিছুটা ভেঙেছেও। বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকারদের অনুমান, নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ তাড়া করা মোটেও সহজ হবে না পাকিস্তানের জন্য।

কাল পেসবান্ধব কন্ডিশনে নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ফের ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মার্টিন গাপটিলকে বোল্ড আউট করেন মোহাম্মদ আমির। সেটি আবার নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ছিল আমিরের প্রথম ডেলিভারি। আমির শুরুটা করে দেওয়ার পর কিউইদের গতির আগুনে পুড়িয়েছেন শাহীন আফ্রিদি। ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলের মধ্যে ৪৬ রান তুলতে ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।

পরের তিনটি উইকেট আফ্রিদির। কলিন মানরো, রস টেলর ও টম লাথামকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন বাঁ-হাতি এ পেসার। এর মধ্যে রস টেলরের ক্যাচটি ছিল দুর্দান্ত। নিজের ৫ ওভারের মধ্যেই মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ মেডেনসহ ৩ উইকেট নেন আফ্রিদি। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার ১০ ওভার-৩ মেডেন-২৮ রান-৩ উইকেট।

"