ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৭ জুন, ২০১৯

বাড়তি ৮ হাজার দর্শকের জন্য অস্থায়ী গ্যালারি

বীরেন্দ্র সেবাগ একবার মজা করে বলেছিলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ খেলার চেয়ে ঘনিষ্ঠ মানুষদের মধ্যে টিকিট বণ্টন করা কঠিন।’ বিরাট কোহলিও তাতে একমত হলেন। জানিয়ে দিলেন, ‘এই টিকিট দেওয়ার কোনো শেষ নেই। একটি থেকে দুটি, দুটি থেকে তিনটি। বিদেশে খেলতে আসার আগে বন্ধুরা যখন খেলা দেখতে আসার কথা বলে, তখন আমি পরিষ্কার বলে দিই, যে অল্প কয়েকটা টিকিট পাই, তা পরিবারের লোকদের দিতে হয়। আসতে পার, তবে টিকিট দেওয়ার দায়িত্ব আমার নয়।’ ভারতের যেকোনো ভেন্যুতে ম্যাচের আগেও এ রকম পরিস্থিতি হয়। যারা বিরাটের মতো মুখের ওপর ‘না’ বলতে পারেন না, তাদের যেন দুর্গতির শেষ নেই।

কালকে পাক-ভারত মহাযুদ্ধ ঘিরে টিকিটের চাহিদা ছিল গগনচুম্বী। রোববার ২৬ হাজার দর্শক ওল্ড ট্রাফোডে বসে খেলা দেখতে পেরেছেন। ম্যানচেস্টারের ঐতিহাসিক এই মাঠের বাঁ দিকে একটা অস্থায়ী গ্যালারি বানানো হয়েছিল সাড়ে ৮ হাজার বাড়তি দর্শকের জন্য। রড দিয়ে তৈরি ওই গ্যালারিতে অবশ্য বিশেষ নাচানাচি করা বারণ ছিল। কিন্তু খেলা দেখার সময় সতর্কবার্তা মানেননি কেউই। বিপদ ঘটলে নিজেদের ঘটবে, তাতে আইসিসির কী আসে-যায়। এখন প্রশ্ন হলো, এমন ছোট মাঠে ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচ আয়োজন করা হলো কেন?

ক্রিকেটবোদ্ধারা মনে করেন, যেহেতু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ ফাইনালের ভেন্যু লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত হবে, তাই চিরশত্রু ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথটা ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানচেস্টারে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া লন্ডনের পর ম্যানচেস্টারেই প্রবাসীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওল্ড ট্রাফোডে এই ম্যাচ আয়োজনের কারণ রয়েছে আরেকটা। ১৯৯৯ সালে শেষবার ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপেও পাক-ভারত ম্যাচ আয়োজন করেছিল ওল্ড ট্রাফোর্ড। সেই ধারাবাহিকতায় ২০ বছর পর ফের এই লড়াই মঞ্চস্থের সুযোগ পেয়েছে ঐতিহাসিক ময়দানটি।

ভারতীয় শিবির যখন মনে করেছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেখানেই খেলা হোক, এটা আর দশটা গেমের মতোই। পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার অবশ্য বলেছেন, ২ পয়েন্ট পাওয়ার ব্যাপারে তার দল অবশ্যই চাপে থাকবে, একইসঙ্গে প্রবল উত্তেজিতও বটে।

তবে ক্লাইভ লয়েড পরিষ্কার বলেছেন, ‘পাকিস্তানের পক্ষে জেতা সম্ভব নয়।’ খোদ পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামও ভারতকে এগিয়ে রেখেছেন, ‘সম্ভাবনার বিচারে ভারত ৬০ শতাংশ, পাকিস্তান ৪০ শতাংশ।’

ম্যাচের আগে বিরাট কোহলি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শোয়েব মালিককে। বিশ্বকাপের পরেই যিনি ওয়ানডে থেকে অবসর গ্রহণ করবেন। সে অর্থে এটাই শোয়েবের শেষ ভারত-পাক ম্যাচ। তার দিকে তাকিয়ে ছিল পাকিস্তানও। যদিও স্ত্রী সানিয়া মির্জা ম্যাচ দেখতে আসেননি। তবে মুকেশ ও নিতা আম্বানি ঠিকই হাজির হয়েছিলেন। বাড়তি কথা, বাড়তি দর্শকে ঠাসা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত কারা জয়ের মালা পরেছে, সেটা এতক্ষণে নিশ্চয় জেনে গেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close