ক্রীড়া ডেস্ক
চটে গেলেন রোনালদো
আমি এখন আমার ফুটবল জীবনের সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি
নিজের ব্যবসায়িক প্রচারণার কাজে চীন সফরে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়লেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। একটি টিভি অনুষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা দেরি করেছেন পর্তুগিজ উইঙ্গার। তাতে বিস্মিত হয়েছেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক চীনা সংগীতশিল্পী গাও জিয়াও সং। সেই সাক্ষাৎকারের কয়েক দিন পরই এক ওয়েবসাইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমি রোনালদোকে অসম্ভব পছন্দ করি। এজন্যই ওর সাক্ষাৎকার নিতে রাজি হয়ে যাই। কিন্তু ওর ব্যবহার আমার অদ্ভুত লেগেছে।’
রোনালদো দেরিতে আসায় ৪৫ মিনিটের অনুষ্ঠানের সময় কাটছাঁট করে ফেলতে হয়। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে অবসর নিয়ে প্রশ্ন করেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। প্রসঙ্গটা আসতেই বিরক্ত হয়ে রোনালদো বলে ফেলেন, ‘এটাই কিন্তু শেষ প্রশ্ন। আর আমি এখন আমার ফুটবল জীবনের সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’ রোনালদো এই ‘ব্যবহারে’ বিস্মিত গাও লিখেছেন, ‘এটাই শেষ প্রশ্ন বলে নিয়েছিলাম ক্রিশ্চিয়ানোকে। কিন্তু ওর কাছ থেকে এতটা রুঢ় ব্যবহার পাব ভাবিনি। জানি না এই প্রশ্নটায় ওর কী সমস্যা হয়েছিল। আমি তো জানি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে ওকে বহুবার এই প্রশ্ন করা হয়েছে। এবং সেখানে অত্যন্ত ভদ্রভাবে তার উত্তরও দিয়েছে।’
গাও দাবি করেছেন, কী কী প্রশ্ন করা হবে তা আগেই লিখিতভাবে দেওয়া হয়েছিল। রোনালদোর দল যা নিয়ে কোনো আপত্তি করেনি। অথচ জুভেন্তাসের তারকা আসল সময় কেন এতটা রেগে গেলেন তা তিনি বোঝেননি। দুঃখ করে বলেছেন, অতীতে তিনি বিল গেটস, বিল ক্লিন্টনদের মতো ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। কিন্তু কখনো কারো কাছ থেকে এ রকম ব্যবহার পাননি। শুধু তাই নয় দৃশ্যগ্রহণের সময় রোনালদো এমনকি অনুষ্ঠানের পরিচালককেও স্টুডিও থেকে বের করে দেন। এদিকে, রোনালদোর কথা যিনি চীনা ভাষায় অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন তিনি আবার বলেছেন, সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য কোনো পুরুষকে বেছে নেওয়াটাই ভুল হয়েছিল। গাও-এর বদলে কোনো সুন্দরী মহিলাকে এই কাজটা করতে দিলে রোনালদো নাকি অনেক বেশি সহযোগিতা করতেন। গাও অবশ্য মনে করেন, ওই অনুবাদক যা বলেছেন তাতে রোনালদোকেই চূড়ান্ত অপমান করা হয়েছে।
চীনের ওই টিভি চ্যানেলে রোনালদোর সাক্ষাৎকারটা দেখানোর কথা কিছু দিনের মধ্যেই। সম্প্রচারিত হলেই বোঝা যাবে রোনালদোর সম্পর্কে অভিযোগ কতটা গভীর। এমনিতে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিন্তু অতীতেও সাংবাদিকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এক বিশেষ ধরনের হেডফোনের প্রচারের সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, ফিফার দুর্নীতি নিয়ে। সেবারও তিনি মারাত্মক রেগে বলেছিলেন, ‘ফিফা বা কাতারে কী হচ্ছে তা নিয়ে আমার কোনো উৎসাহ নেই।’
"