নিজস্ব প্রতিবেদক

  ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

মন্ত্রীদের তৎপরতা

পাঠ্যবইয়ে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে সংশোধন

- শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা সংশোধন করা হবে। তিনি শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে অপরাজনীতি না করার আহ্বান জানান। গতকাল সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে স্বাধীনতা মাদরাসাশিক্ষক পরিষদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে মাদরাসাশিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে তারা মাদরাসার জন্য প্রণীত পাঠ্যবইয়ে তাদের মতামত প্রদান ও অবদান রাখতে পারবেন। তিনি বলেন, এ উপমহাদেশের হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামী ভাবধারা দেশের আলিয়া মাদরাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে মাদরাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন। নতুন শিক্ষাক্রম দক্ষতামূলক, যা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার ১ হাজার ৮০০ মাদরাসা ভবন নির্মাণ করেছে। এছাড়া প্রচুর মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রী এ সময় মাদরাসা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং যৌক্তিক দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে বলে জানান।

এ সময় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জাতীয় পাঠ্যক্রমের বিষয় ছাড়াও ধর্মীয় বিষয় অধ্যয়ন করে। তাই তারা মূলধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

মতবিনিময় সভায় শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু বলেন, অতীতে মাদরাসা শিক্ষকদের সংগঠনের নামে কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন। তারা ইসলামের চর্চার চেয়ে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর মতাদর্শ প্রচারে অধিক ব্যস্ত ছিলেন। তবে বর্তমান সরকার মাদরাসায় প্রকৃত ইসলামের চর্চার পরিবেশ বজার রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।

সভায় সারা দেশ থেকে আগত শিক্ষকরা জানান, নতুন শিক্ষাক্রম মাদরাসার সঙ্গে জড়িত সকলেই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি কমেছে, যা ঝরে পড়া রোধে সহায়তা করবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আবদুর রশিদ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close