বিশেষ প্রতিবেদক

  ০৮ মে, ২০২৪

ব্যাংকে বাড়ছে আস্থার সংকট

ব্যাংক খাতে চলছে চরম অস্থিরতা। একদিকে উচ্চ সুদহারেও ব্যাংকে টাকা রাখছেন না সাধারণ মানুষ; অন্যদিকে আশঙ্কাজনক হারে পৌঁছেছে আমানত উত্তোলনের প্রবণতা। ফলে তারল্য সংকটের মুখে পড়েছে ব্যাংক খাত। ধার করে চলছে বেশিরভাগ ব্যাংক। অর্থের জোগান কম হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে বিনিয়োগ। দীর্ঘ মেয়াদে মূলধন সংকটে পড়তে পারে অনেক ব্যাংক। এ অবস্থায় ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরাতে এবং দুর্বল ব্যাংককে টেনে তুলতে ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে তাতে রাজি নয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। এতে ব্যাংক খাতে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা, বাড়ছে আস্থার সংকট। গ্রাহকদের মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে আমানত হারাতে শুরু করেছে কিছু ব্যাংক। ব্যাংকগুলো একীভূত করার ক্ষেত্রে চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন দুর্বল ব্যাংকের কর্মকর্তারা। সব মিলিয়ে আস্থার সংকটে ব্যাংকগুলো।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সুদহার ৪ শতাংশ বাড়িয়েও পর্যাপ্ত আমানত সংগ্রহে ব্যর্থ হচ্ছে বেশিরভাগ ব্যাংক। বিশেষ করে সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর অবস্থা সংকটাপন্ন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবাস্তব নীতি ও অপরিকল্পিত পদক্ষেপের কারণে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকেই। তারা বলছেন, গত কয়েক বছরে ব্যাংক খাতে অনিয়ম-জালিয়াতির খবর বেরিয়ে এলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উল্টো বিভিন্ন নীতি সহায়তা দিয়ে জালিয়াত চক্রকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ কয়েক দফায় ব্যাংক থেকে আমানত উত্তোলন করেছেন। সম্প্রতি ব্যাংক একীভূতকরণের পদক্ষেপের মাধ্যমে কয়েকটি ব্যাংককে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করেছে খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘কোন বিশ্বাসে গ্রাহক টাকা রাখবেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি বলে দেয়- ওই ব্যাংকটি দুর্বল, তাহলে কোন বিশ্বাসে সেই ব্যাংকে গ্রাহক টাকা রাখবেন। আর সব গ্রাহক যদি একসঙ্গে টাকা উত্তোলন শুরু করেন, তাহলে কারো পক্ষেই তা সামাল দেওয়া সম্ভব নয়।’ অন্যদিকে তথ্য লুকোচুরি, ভুল তথ্য কিংবা নিজেদের তৈরি প্রতিবেদন অস্বীকার করার মতো কাণ্ড ঘটিয়ে হযবরল পরিস্থিতির তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য পরবর্তী সময়ে ভুল প্রমাণ হওয়ায় অনাস্থা তৈরি হচ্ছে।

গত মাসে বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার আলোচনার মধ্যেই বেসিক ব্যাংক সরকারি নয় এমন বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এক মুখপাত্র। এতে বেসিক ব্যাংক থেকে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা আমানত উত্তোলন হয়েছে বলে জানান ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনিসুর রহমান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্রের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে ব্যাংকটি দাবি করেছে, ‘বেসিক ব্যাংক শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক’, এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। এছাড়া ব্যাংকটির পর্ষদ বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বর্তমানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

মূল্যস্ফীতিকে প্রাধান্য দিয়ে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে আমানত ও বিনিয়োগের সুদহারও। সুদ বৃদ্ধির ফলে ব্যাংকে আমানত বাড়ার কথা। অন্যদিকে ঋণে সুদ বেশি হওয়ায় বিনিয়োগ কমে গিয়ে ব্যাংকের হাতে পর্যাপ্ত তারল্য জমা হওয়ার ফলে তা বেশি সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যাবে। ফলে সার্বিকভাবে বাজারে টাকার প্রবাহ কমবে। এর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ব্যাংকগুলোয় টাকার সংকট থাকায় প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার কোটি টাকা করে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাছাড়া ব্যাংকের আমানতও বাড়েনি, মূল্যস্ফীতিও কমেনি।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও দেশের আর্থিক খাতের সংকট কাটাতে চলতি অর্থবছরের শুরুতেই ব্যাংক ঋণের সুদে ৯ শতাংশের সীমা তুলে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের সুদহার বৃদ্ধিতে এ সময় সব ব্যাংক আমানতেও সুদহার বাড়িয়েছে। ফলে মানুষের হাতে থাকা টাকা ব্যাংকে যেতে শুরু করে। কিন্তু গত ডিসেম্বরে ব্যাংক একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর প্রথম ধাপ হিসেবে প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ পদ্ধতিতে আগামী বছরের মার্চে দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত হওয়ার কথা। কিন্তু হঠাৎ করে কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা আসে। এতে গ্রাহকের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকের গ্রাহকরা আতঙ্কে ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিতে শুরু করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘসময় ধরে চলা অনিয়মের কারণে সৃষ্ট আস্থাহীনতায় ব্যাংক থেকে অর্থ বেরিয়েছে, সেগুলো ফেরত আসছে না। খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণে এর বিপরীতে প্রভিশন রাখতে হচ্ছে। একটি শ্রেণি টাকা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। ব্যাংকগুলোও তারল্য ব্যবস্থাপনা ভালোভাবে করতে পারছে না।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের শুরুতে সরকারি ব্যাংকগুলোয় তারল্যের (নগদ টাকা) পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। কিন্তু ফেব্রুয়ারি শেষে ওই ব্যাংকগুলোর নগদ কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকায়। অর্থাৎ অর্থবছরের ৮ মাসে সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে নগদ কমেছে ৭ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। একই অবস্থা রাষ্ট্রের বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোরও। অর্থবছরের শুরুতে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর হাতে নগদ ছিল ২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। কিন্তু ফেব্রুয়ারি শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৯৯ কোটি টাকায়। অর্থাৎ বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর তারল্য কমেছে ২৩৯ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাইয়ে পুরো ব্যাংক খাতে তারল্য ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সার্বিক ব্যাংক খাতে তারল্য কিছুটা বেড়েছে, তবে সরকারি ব্যাংকগুলোয় নগদ টাকার প্রবাহ কমেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মার্চ ও এপ্রিলে সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে আমানত আরো কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক আরেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে কাজ করতে হবে। ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেলে টাকা পাওয়া যাবে না- এমন ধারণা পরিবর্তন করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাংক বন্ধ হচ্ছে, কিন্তু গ্রাহকের টাকা ফেরত পেতে সমস্যা হয় না। সুদ হয়তো পাওয়া যায় না। কিন্তু মূল টাকা পেতে সমস্যা নেই। এজন্য আমানতের বীমা ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি টাকা করা দরকার। তাহলে আমানতকারীরা ভরসা পাবেন। যেকোনো মূল্যে ব্যাংকে আমানত বাড়াতে হবে। এজন্য ৩ থেকে ৬ মাস মেয়াদি আমানতের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।’ তবে ব্যাংকাররা বলছেন, হিসাব করলে দেখা যায়, গত ৮ মাসে তারল্য বাড়ার যে চিত্র তা হতাশাজনক। কারণ আমানতের সুদ হিসাব করলেও এর চেয়ে বেশি অর্থ থাকার কথা। এখন বিনিয়োগ পরিস্থিতি তেমন একটা ভালো নয়। তবে সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এটি হয়তো সমান সমান আছে, কিন্তু সার্বিকভাবে বাড়েনি।

মূলত ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর আস্থাহীনতায় আমানত উত্তোলনের হার বেড়েছে। প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সম্প্রতি বেশকিছু প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারী ব্যাংক থেকে টাকা তোলার আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে বেসিক ব্যাংক প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত হারিয়েছে। বিডিবিএল থেকেও ১৫০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন গ্রাহকরা। একীভূতের তালিকায় থাকা অন্যান্য ব্যাংকের পরিস্থিতিও প্রায় একই। তারাও আমানত হারানোর শঙ্কায় রয়েছে। খারাপ ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার খবরে ভালো ব্যাংকের গ্রাহকরাও আতঙ্কিত হয়ে টাকা তুলছেন। বিশ্লেষকদের মতে, মার্জারের প্রভাবে কিছু ব্যাংকের আমানত কমতে শুরু করেছে। খাতটি ঢেলে সাজাতে আরো বিকল্প পথ রয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বরে ব্যাংক মার্জারের (একীভূতকরণ) আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত, বিদেশি ও ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর আমানত কমতে শুরু করেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় নগদ তারল্য বা লিকুইড অ্যাসেট ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। কিন্তু ২ মাসের ব্যবধানে ফেব্রুয়ারি শেষে তা কমে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকায় নেমেছে। অর্থাৎ ২ মাসের ব্যবধানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ৭৬৯ কোটি টাকার নগদ আমানত কমে গেছে। এদিকে ২ মাসে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোয় নগদ তারল্য কমেছে ৩ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। কারণ ডিসেম্বরে পুরোপুরি ইসলামী ধারায় পরিচালিত ১০ ব্যাংকের লিকুইড অ্যাসেট ছিল ৪৪ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে এ অঙ্ক ৪০ হাজার ৮৮২ কোটিতে নেমে এসেছে। এছাড়া সরকার নিয়ন্ত্রিত বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর লিকুইড অ্যাসেট ১১৭ কোটি এবং বিদেশি ব্যাংকের ৫১৩ কোটি টাকা কমেছে। সব ধারার ব্যাংকে লিকুইড অ্যাসেট কমলেও বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোয় ৬ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা বেড়েছে।

ব্যাংকাররা বলছেন, ‘মার্জারের খবরে অনেক গ্রাহক ব্যাংক বদল করছেন।’ সম্প্রতি রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস মোড়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তি। এর মধ্যে আমিরুল ইসলাম নামে একজনকে বলতে শোনা গেল, ‘কিছু ব্যাংক এক হয়ে যাবে শুনছি। এতে আমাদের কী লাভ হবে জানি না। এ নিয়ে একটু চিন্তায় আছি।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সরকারি ব্যাংকের লোন নিতে এসে বলেন, ‘আমার লোন অনেক দিন আগে পাস হয়েছে, কিন্তু ব্যাংক টাকা নেই বলে লোন দিচ্ছে না। অন্যদিকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলে চাকরি থাকবে না বলে শঙ্কায় আছেন দুর্বল ব্যাংকের কর্মকর্তারা। কারণ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কর্মী রাখতে চাইবে না কোনো ব্যাংক।’

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি দুর্বল ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, অন্যসব কোম্পানির মতো ব্যাংকও একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এমন প্রতিষ্ঠান তো প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মকর্তা নেবে না। এতে শুধু শুধুু খরচ বাড়বে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূত করার প্রথম তিন বছরে কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এরপরও চাকরি হারানোর আশঙ্কা থেকেই যায়। ব্যাংকারদের মধ্যে একটি পক্ষ দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে নতুন করে শুরু করতে অনিচ্ছুক। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত তারা উপেক্ষা করতে পারছে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, মার্জার বিশ্বব্যাপী বহুল পরিচিত একটি প্রক্রিয়া। অনেক দেশেই এটা হয়। এতদিন আমাদের প্রয়োজন হয়নি, তাই করিনি। এখন প্রয়োজন বলেই মার্জার নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এছাড়া এ প্রক্রিয়ায় আমানতকারীদের টাকার সুরক্ষা দেওয়া হবে সবার আগে। কারো আমানত খোয়া যাবে না। নতুন প্রক্রিয়া বলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close