বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ০৮ মে, ২০২৪

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী

৪৮ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎহীন উপজেলাবাসী

মোমবাতি জ্বালিয়ে সেবা দিচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা। ছবি:প্রতিদিনের সংবাদ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে তীব্র তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টি হয়েছে। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরলেও কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে দিনরাত্রি ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো বাসিন্দা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগসহ পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চিকিৎসা চলে মোমের আলোয়। ইন্টারনেট ও ফোনসেবা ছিল বিঘ্নিত।

বুধবার (৮ মে) দুপুর ২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় প্রায় ৪৮ ঘন্টা পার হলেও অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এছাড়া ঝড়ে কিছু এলাকায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) বিকেল ৩টা থেকেই বোয়ালখালীতে ধমকা হাওয়ার সঙ্গে মেঘের গর্জনে শুরু হয় কালবৈশাখীর তাণ্ডব। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিদ্যুৎ যাওয়ার ২২ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (৭ মে) কয়েকটি জায়গা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও বেশিরভাগ গ্রাহক এখনো অন্ধকারে রয়েছেন।

জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা আফরিন রূম্পা প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, সোমবার ৩টার পর থেকে মঙ্গলবার রাত ১১টা পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগসহ সব বিভাগে মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।


  • গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন
  • মোমের আলোয় জরুরী বিভাগসহ পুরো হাসপাতালে চিকিৎসা
  • ফসলি জমি থেকে পানি না সরলে ধানে পচন ধরার শঙ্কা

বোয়ালখালী পৌরসভার বাসিন্দা মুহাম্মদ আসিফ বলেন, ‘সোমবার বিকেল ৩টার দিকে বিদ্যুৎ গেছে এখনো আসে নাই।’

শাকপুরার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টা পার হলেও বিদ্যুতের দেখা নেই। ট্যাংকির পানি শেষ অনেক আগেই, এখন রেফ্রিজারেটরে (ফ্রিজে) রাখা মাছ, মাংসসহ তরিতরকারি নষ্ট হচ্ছে।’

শাহিদা বেগম নামের এক গৃহিণী বলেন, ঝড়ের পর থেকেই বিদ্যুৎ নেই। কখন আসবে তারও ঠিক নেই। এদিকে পানি শেষ। বিদ্যুৎ না এলে অন্ধকারে থাকতে হবে।

জ্যৈষ্ঠপুরা এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, মাঠে ধান রয়েছে। বৃষ্টিতে পানি জমেছে। পানি না সরলে ধানে পচন ধরার শঙ্কা করছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ বলেন, বাতাসের তীব্রতা বেশি ছিল কালবৈশাখী ঝড়ে বোয়ালখালীতে ধানসহ বিভিন্ন ফসল আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে এখন মাঠে ফসল রয়েছে শুধু ধান, পাশাপাশি কিছু ভুট্টা ও আমের ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্তভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যায়নি।

জোনাল অফিসের ডিজিএম মিজানুর রহমানের সঙ্গে একাধিক যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চট্টগ্রাম,বোয়ালখালী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close