নিজস্ব প্রতিবেদক
মেট্রোরেল
স্টুডেন্ট ভাড়া দাবি তুলে তোপের মুখে যাত্রী
মেট্রোরেলে স্টুডেন্ট ভাড়া করা হোক- দাবি করে তোপের মুখে পড়েছেন এক মেট্রো যাত্রী। বেশিরভাগ লোকজনই তার দাবিটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কেউ বলছেন, ছাত্রদের জন্য তো বাস আছে তারা বাসে যাবে। আবার কেউ বলছেন, এটা সম্ভব নয়। আবার কেউ মজা করে বলছেন, ছাত্রদের জন্য টিকিট ফ্রি করা হোক।
গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেট্রোরেলের একটি কমিউনিটি গ্রুপে মাহমুদুল হাসান রুদ্র নামের এক যাত্রীকে মেট্রোরেলে স্টুডেন্ট ভাড়া করার দাবির একটি পোস্ট করতে দেখা যায়। সেখানে বিপক্ষে বলতে দেখা গেছে বেশিরভাগ লোকজনকে।
মো. মাহফুজুর রহমান সেখানে কমেন্ট করেছেন, ‘কেন, বাসে তো হাফ ভাড়া। বাসে যাবেন।’ আফজালুর রহমান ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘ফ্রি এর দাবি কর, ভিখারির দল।’ আপেল মাহমুদ রয়েল লিখেছেন, ‘ওরা বাসে যাবে, হেঁটে যাবে, কর্মজীবীদের প্রধান্য দেওয়া হোক।’
শাহাদাত হোসাইন লিখেছেন, ‘ইটস নট পসিবল।’ সৈয়দ সাইফ সাদ্দাম বলেছেন, ‘নো ওয়ে পসিবল!’ প্রান্ত দাস অনুপ লিখেছেন, ‘কোন দরকার নেই, বাস আছে।’ আনজুম জামান প্রিয়ম বলেছেন, ‘বেশি চাওয়া ঠিক না।’
রায়েহাত শুভ লিখেছেন, ‘কেনো ভাই? লজিক্যাল কারণ বলেন। সারকাস্টিক্যালি অনেক কিছু বলতে পারতাম, বললাম না। শুধু লজিক্যাল কারণটা বলেন। আপনার নিজের ফিন্যান্সিয়াল আর ইকোনমিক্যাল কন্ডিশন থেকে। উনার পাতে ঝোল দাও এমন আসপেক্ট থেকে না।’
হাসির ইমোজি ব্যবহার করে মজা করে শান্ত ইসলাম লিখেছেন, ‘হুম, যাতে ডার্বি না খেয়ে বেনসর খেতে পারে।’ হাসির ইমোজি দিয়ে ইমরান মো. মারুফও লিখেছেন, হোক, আমিও ফেক কার্ড বানাবো’। সালমান সাইফ চৌধুরী রাগের একটি ইমোজি ব্যবহার করে লিখেছেন, ‘আপনাকে গ্রুপ থেকে ব্লক মার হোক।’
শরিফুল হাসান মাসুম নামের এক মেট্রো যাত্রী সেখানে সেফুদার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওটিতে সেফুদাকে বলতে শোনা যায়, ‘বেশি বকাবকি করব না। কারণ আমি একজন শিক্ষক। শিক্ষকদেরও শিক্ষক। কথা বুঝো নাই? গরিব বলতে আমি টাকা পয়সা, ঘরবাড়ি নাই, গাড়িবাড়ি নাই এসব বুঝাই নাই। টাকা পয়সা থাকলেই বড়লোক হয় না। মন বড় যার, সে হলো বড় লোক।’
তবে মো. উবায়দুল ইসলাম লিখেছেন, ‘স্টুডেন্ট এমআরটি পাস করা যেতে পারে। পাসে স্টুডেন্টের ছবি থাকবে এবং মেয়াদও থাকবে। স্টুডেন্ট নিজে ছাড়া অন্য কেউ এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবে না। করলে পেনাল্টি ফি দিতে হবে।’
"