নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১০ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬.১ শতাংশ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ৩৬.১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এর মধ্য সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়, সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়, সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩.১ শতাংশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, নির্বাচনে ৩৬.১ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইভিমে ভোটের হার ৩১.৩১ ও ব্যালটে ৩৭.২২ শতাংশ। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে গত বুধবার ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। এ ধাপে ২২টি উপজেলায় ইভিএম ও বাকিগুলোয় ব্যালটপেপারে ভোট নেওয়া হয়। অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে এদিন দুটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়। অনিয়মের চেষ্টার অভিযোগে আটক করা হয় ৩৭ জনকে।

ভোটের সময় খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ কিছু এলাকায় হুমকি, অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার তথ্য সংবাদমাধ্যমে আসে। ভোট শেষে নির্বাচন ভবনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বুধবার সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন ভালোভাবে হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বিক্ষিপ্ত কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে। যেখানে কিছু সংঘর্ষ, আহতের ঘটনা ঘটেছে; কয়েকটি কেন্দ্রে সীমিত পর্যায়ে অনিয়ম হয়েছে। যার কারণে আমরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছি।’ ভোটের হার গড়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মাঝামাঝি থাকতে পারে আভাস দিয়ে সিইসি বলেছিলেন, ‘নানা কারণে কম ভোটার হয়েছে কেন্দ্রে; তবে ভোটার উপস্থিতি আরো বাড়লে ভালো হতো।’

সর্বশেষ ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা ভোটে গড়ে ৪১ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬১ এবং তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭.৬৯ শতাংশ ভোট পড়ে। এ হিসাবে গত এক দশকের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে ভোটের হার এবারই সবচেয়ে কম। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সোনাতলা, মিরসরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩.১ শতাংশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close