reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১০ মে, ২০২৪

সাক্ষাৎকার

সময়টাকে এনজয় করাই মনে হয় বড় বিষয় : জয়া আহসান

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। প্রতিযোগিতার দৌড়ে থাকা নয়, সারা বছর মন দিয়ে শিল্পচর্চাতেই বিশ্বাসী তিনি। যার স্বীকৃতিও পাচ্ছেন নিয়মিত। চতুর্থবার পেয়েছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার ফিল্ম ফেয়ার। নানা বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন তুহিন খান নিহাল

চারবার ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন? কেমন লাগছে?  

বাংলাদেশের জন্য যখনই আমি কোনো পুরস্কার পাই, সেটা যদি ভিনদেশি মাটিতে হয়, এটা আমার জন্য যতটা আনন্দের, তার থেকে বেশি আনন্দবোধ করি বাংলাদেশের হয়ে পুরস্কার হাতে নিতে পেরে। এবারের ফিল্ম ফেয়ারে বাংলাদেশের অনেকেই নমিনেশন পেয়েছিলেন। পুরস্কার পেয়েছি এটা বড় বিষয় এবং খুবই গর্বের।

সবাই বলে আপনি চিরতরুণ! রহস্য কী?

কোথায়! মানে তরুণ কীভাবে রয়েছি, কী রয়েছি, জানি না। আমি তো আমার মতোই আছি। আর সময়টাকে এনজয় করাই আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বড় বিষয়।

সম্প্রতি কোক স্টুডিওর একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন?

‘কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় সিজনে ‘তাঁতী’ গানে কণ্ঠ দিয়েছি। আমি সব সময় দেশের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করি- বাংলাদেশের মসলিন এবং জামদানিকে রিপ্রেজেন্ট করার। আসলে গানটিতে আমি অভিনেত্রী জয়া আহসান হিসেবে না, মিউজিক টিমের একজন হয়ে গেয়েছি।

ছোটবেলায় গান শিখেছেন, এরপর প্লেব্যাক। সামনে নিয়মিত সংগীতশিল্পী হিসেবে দেখা যাবে?

­ছেলেবেলায় রবীন্দ্রসংগীত শেখা হতো। ছেলেবেলায় পরিবারে যেমন হয়, গানের স্কুলে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য বাবা-মা গান শেখায়, ওরকমই শিখেছিলাম। তবে আমি গান খুব ভালোবাসি। বিশেষ করে উচ্চাঙ্গসংগীত নিয়ে আমার ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। প্লে­ব্যাক করেছি যেগুলোয় সেগুলো আমার সিনেমার জন্য। ‘ডুবসাঁতার’ সিনেমায় গান করেছি রবীন্দ্রসংগীত ‘তোমার খোলা হাওয়া’। এ ছাড়া ‘জঙ্গলের ডাক’ গানটি গেয়েছিলাম ‘পারলে ঠেকা’ সিনেমায়। ‘বিনি সুতোয়’ অতনু ঘোষ পরিচালিত সিনেমার জন্য একটি গানও করেছিলাম। তবে নিয়মিত গানের বিষয়ে আমি সেভাবে ভেবে দেখিনি। প্রয়োজন হলে অবশ্যই করব চলচ্চিত্রের জন্য, কাজের জন্য হলে গান গাইব।

অনুদানের একটি সিনেমার প্রযোজক ছিলেন। কিন্তু টাকাটা ফিরিয়ে দিয়ে সিনেমা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কারণটা কী?

প্রথম কারণ হলো, অনেক দিন ধরে সিনেমার কাজ আটকে ছিল। ডিরেক্টর মেজবাউর রহমান সুমন কাজটি শুরু করতে লম্বা সময় নিচ্ছিলেন। সরকারি অনুদানের তো, কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। সরকার আমাদের এই ছবির জন্য যে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছিল, সেটা তো শুধু সরকারের টাকা না, আমার টাকাও না, এটি জনগণের টাকা। এ বিষয়টি আমার কাছে একটা বড় দায়। যেহেতু সময় লাগছে, তাই আমি মনে করলাম- এটি ফেরত দিয়ে দেওয়া যায়। হেলাফেলা করতে চাইনি। কারণ এটার সঙ্গে আমার নামের সম্মান রয়েছে, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সম্মান রয়েছে, আমার ডিরেক্টরের সম্মান রয়েছে। হয়তো অন্য কখনো অন্য কোনোভাবে সিনেমাটির কথা ভাবা হবে।

টাকা ফেরত দেওয়াটাই কী সলিউশন, কী মনে হয়? সময় বাড়াতে পারতেন?

আমি দু থেকে তিনবার সময় বাড়িয়েছি। এরপর মনে হলো, আর বাড়ানো উচিত হবে না। এর আগেও আমি অনুদানের টাকায় সিনেমা বানিয়েছি। সেটি বেশ প্রশংসিতও হয়েছে। এই সিনেমা নিয়ে প্রযোজক হিসেবে চেষ্টা করেছি। কিন্তু মনে হলো, এর বেশি ঘাটানো কারো জন্যই সমীচীন হবে না।

এখনকার কাজের ব্যস্ততা কী নিয়ে?

আশফাক নিপুণের একটি ওয়েব সিরিজ করছি। যেটি বাংলাদেশে আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ হবে। তা ছাড়া কলকাতায় ‘ডিয়ার মা’ নামে একটি সিনেমার কাজ শুরু করেছি। অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর। শিগগিরই কাজ শুরু করব। এ ছাড়া কিছু কাজের প্লানিং হচ্ছে, অবশ্যই জানাব।

দুদেশে অভিনয়ে নিয়মিত আপনি, যদি পার্থক্যের জায়গাটা বলেন?

খুব একটা পার্থক্য নেই। জায়গা এবং ভাষাগত দুদেশে কিছুটা আলাদা থাকলেও কাজের ধরন, ইমোশন, ভেলুজ, সংস্কৃতি- সবই আমার কাছে এক মনে হয়।

আপনার মতে শিল্পীজীবনের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক কোনটি?

একজন শিল্পী একজীবনে নানা চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। একই মানুষ কত রকম মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেন। একজীবনে অনেক জীবন পান। এটি অভিনয়শিল্পী না হলে সম্ভব হতো? কখনোই না। শিল্পীজীবনে এটিকে বড় পাওয়া বলে মনে করি।

‘জয়া’ নামের শিল্পী মানুষটির ইউনিক গুণ কী?

সেটা আসলে আমার পক্ষে বলা সম্ভব না। আপনারা বলবেন যদি কোনো গুণ থেকে থাকে। তবে আমি খুব বেশি কিছু ভাবি না যে, আমার মধ্যে এক্সটা অর্ডিনারি কোনো কিছু বা কোনো গুণ আছে কি না। তবে ভালো গুণ যদি থাকে সেটা ধীরস্থির থাকা। আমার আর কোনো গুণকে বিশেষ নম্বর দিতে পারছি না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close