নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

পিটার হাসের অন্যরূপ!

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হিসেবে অভিহিত করতে চায় না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস নির্বাচনের আগে বহুভাবে সরকারের ওপর চাপ তৈরির জন্য তৎপরতা চালিয়েছেন। এতে বিভিন্নভাবে বিব্রত করার চেষ্টা করা হয়েছে সরকারকে। সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ নির্বাচনের বিষয়ে প্রশ্ন তুললেও গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরকারের নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিটার হাস। তিনি অন্যান্য অতিথির সঙ্গে বঙ্গভবনের দরবার হলে আসন গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল। মন্ত্রিপরিষদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে পিটার হাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় ড. হাছান মাহমুদকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পিটার হাস। জাতীয় নির্বাচনের পর শেখ হাসিনাকে ভারত, চীন এবং রাশিয়াসহ অনেক দেশ অভিনন্দন জানায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সুর ছিল অন্যরকম।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী হয়নি।

তবে শেষ পর্যন্ত পিটার হাস মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে অন্যভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেন। যদিও সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে আলোচনায় ছিলেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত। পিটার হাস দফায় দফায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাশিয়ার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সরকারবিরোধীদের উসকানি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে মার্কিন সরকার।

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ওপর ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করে আসছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই নির্বাচন ঘিরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা প্রবল হয়। তবে ৭ জানুয়ারি কোনো ধরনের সংঘাত ছাড়াই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close