প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৪ মার্চ, ২০২৩

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বড় ভূমিকা রাখার আগ্রহ চীনের

ইরান ও সৌদি আরবের চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের পর বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে চীনকে আরো বড় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সোমবার (১৩ মার্চ) বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। শুক্রবার সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে প্রশংসা ভাসছে চীন। অনেক বিশ্লেষক একে চীনের জন্য বড় কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছেন। ২০১২ সালে চীনের শাসনভার নেওয়ার পর থেকে শি জিনপিং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে কথা বলে এসেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও অন্যান্য সংস্থার নীতিমালায় পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে বলছেন, এ সংস্থাগুলো উন্নয়নশীল দেশের চাহিদার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

তিনি বলেন, চীনের উচিত ‘বৈশ্বিক সুশাসন ব্যবস্থার সংস্কার ও গঠনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা’ এবং ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগের’ প্রচারণা করা। এতে বিশ্বে ইতিবাচক শক্তি যোগ হবে এবং শান্তি ও উন্নয়ন আসবে, যোগ করেন শি।

শুক্রবার টানা তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হন চীনের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে ক্ষমতাবান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শি জিনপিং। এ ছাড়া অক্টোবরে তিনি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ৫ বছরের মেয়াদে পুনর্নির্বাচিত হন।

চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস রবিবার শির পছন্দের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের অন্যান্য নেতার নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। ১০ বছর পরপর এই প্রক্রিয়া চালানো হয়। ২০২২-এর শুরুতে শির সরকার সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার ফলে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে চীন নৌবাহিনীর জাহাজ ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে। এ উদ্যোগে নড়েচড়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।

বেইজিংয়ে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট দলের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই, ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সচিব আলি শামখানি ও সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুসাআদ বিন মোহাম্মদ আল আইবান বৈঠক করেন। ছবি : রয়টার্স।

শি সোমবার প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং আরো বেশি পরিমাণে আত্মনির্ভর হওয়ার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি চীনের জাতীয় পুনর্জীবন লাভের বিষয়টি বারবার উল্লেখ করেন এবং চীনকে গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতার ভূমিকায় নিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেন, ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে চীন ১টি ‘আধা-ঔপনিবেশিক, আধা-জমিদার শাসিত দেশ ছিল, যাকে বিদেশি রাষ্ট্র খুব সহজেই প্রভাবিত করতে পারত’।

শি বলেন, জাতি হিসেবে আমরা অবশেষে সব ধরনের লজ্জাজনক বিষয় থেকে মুক্তি পেয়েছি এবং চীনের মানুষ এখন তাদের নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই গড়ে তোলে। রাষ্ট্র হিসেবে চীন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, ধনী হয়েছে এবং আরো বলিষ্ঠ হচ্ছে, যোগ করেন শি। শি একই সঙ্গে দেশকে ‘একীভূতকরণের লক্ষ্যে অবিচল থাকার’ কথা জানান, যা স্বশাসিত তাইওয়ানের প্রতি ইঙ্গিত করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close