নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

মার্কিন প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে ভুল তথ্যে

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রকাশিত মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রতিবেদন ২০২৩-এ তথ্যের অসঙ্গতি আছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সরকারের ভালো কাজের কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে মার্কিন এ প্রতিবেদনের ওপর এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা জানায়।

প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন, পৃথিবীর কোথাও মানবাধিকার পরিস্থিতি শতভাগ নির্ভুল নয়। বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণের মানবাধিকার পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়। প্রতিক্রিয়ায় আরো বলা হয়, দুঃখজনকভাবে সরকারের অনেক ভালো কাজের স্বীকৃতি প্রতিবেদনে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ধারাবাহিকভাবে বিচ্ছিন্ন ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়, প্রতিবেদনটিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধারণা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের কথা বলা হয়েছে। এসব ধারণা ও অভিযোগ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে এবং এসব এনজিওর অনেককে যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়ন করে থাকে।

মার্কিন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ‘গৃহবন্দি’। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তিনি একজন দোষী ব্যক্তি এবং নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করা হয়েছে বলে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়। আরেক জায়গায় মার্কিন প্রতিবেদনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু ক্ষেত্রে ‘অতিরিক্ত শক্তি প্রদর্শন করেছে’ বলে বলা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি ও তাদের রাজনৈতিক সহযোগীরা যে ভাঙচুর ও সহিংসতা করেছে, সেটি উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকার জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য মেকানিজমগুলোর সঙ্গে কাজ করবে, যাতে দেশের মানুষের মঙ্গল হয় বলে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close