নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৫ মে, ২০২৪

রামপুরা-ডেমরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কতদূর

সিটি করপোরেশনের টালবাহানায় রামপুরা-ডেমরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হচ্ছে না। প্রকল্প পরিচালক জানান, পিলার ও র‍্যাম্পের জায়গার বিষয়ে যে অনাপত্তিপত্র প্রয়োজন, তা মিলছে না। এদিকে চুক্তির দুই বছরের বেশি সময় কেটে যাওয়ায়, ডলারের দাম সমন্বয় চায় চীনের দুই নির্মাতা কোম্পানি। এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছু বিষয়ে তাদের আপত্তি থাকলেও, আলোচনায় সমাধান সম্ভব।

রাজধানীতে প্রবেশে যাত্রাবাড়ী সড়কের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয় ডেমরা-রামপুরা রুট। দিনে এই রুটে গাড়ি কম থাকলেও, রাতে চাপ বাড়ে বাস-ট্রাকের। এ জন্য এখানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ২০২২ সালে চীনা দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। দেড় বছরের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, কেটে গেছে দুই বছরের বেশি। দেরির কারণে, ডলারের দাম সমন্বয় চায় চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে চিঠিও দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে।

এ বিষয়ে রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. এনামুল হক বলছেন, এক্সপ্রেসওয়ের বাঁক এবং র‍্যাম্পের জায়গার জন্য দুই সিটি করপোরেশনের অনাপত্তিপত্র প্রয়োজন, যা নিয়ে চলছে টালবাহানা। এ জন্য শুরু করা যাচ্ছে না মূল কাজ। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী মো. মিজানুর রহমান বলছেন, প্রকল্পের কিছু ইস্যুতে তাদের আপত্তি রয়েছে। তবে আলোচনায় তা সমাধান সম্ভব। ২০২৬ সালে এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩০০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন কাজে, এরই মধ্যে সরকারের খরচ হয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close