মাসুম বিল্লাহ, শালিখা (মাগুরা)
শালিখায় বিক্রি বেড়েছে বেড়-মাথালের
চলছে বোরো ধানের মৌসুম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন হয়েছে বেশ। তাই তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে মাথায় মাথাল লাগিয়ে ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। আর তাই প্রতি শনিবার এলেই উপজেলা সদর আড়পাড়া বাজারের বাঁশ-বেতের তৈরি কৃষি সামগ্রীর দোকানগুলোতে বেড়ে যায় ভিড়। দিনভর বিক্রি হয় ধান সংরক্ষণের বেড় বা চাটাই, মাথাল, ধামা, কুলা, ডোলসহ নানাবিধ কৃষিপণ্য। ধানের মৌসুম এলেই ঝুড়ি, ট্যাপারি, সেরসহ অন্যান্য বাঁশ বেতের তৈরি কৃষিপণ্যের চেয়ে মাথাল, বেড় বা আউড়ি এবং ডোলের বিক্রি বেড়ে যায় কয়েকগুণ যা থেকে অর্ধ লাখের বেশি টাকা আয় হয়।
গত শনিবার আড়পাড়া বাজারের বিভিন্ন বাঁশ-বেতের কৃষিপণ্যের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, কেউ কিনছেন মাথাল, কেউ ধানের বেড়, কেউবা ধামা। যেখানে প্রতিটা মাথাল বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকা, ধানের বেড় বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৭০০ টাকা এবং ধামা বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৬০০ টাকা, ধান সংরক্ষণের ডোল বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত। মোট বিক্রিত মাথালের ৭০ শতাংশ মাথাল ক্রয় করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রম বিক্রি করতে আসা কৃষাণেরা।
এমনই একজন কৃষাণ ইসরাইল মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘যে রোদ পড়ছে তাতে মাথাল ছাড়া মাঠে যাওয়া একদমই অসম্ভব। তাই মাথালের দাম একটু বেশি হলেও আগে মাথাল কিনতেছি তারপরে কাজ করতে যাচ্ছি।’
ফরিদপুর থেকে শ্রম বিক্রি করতে আসা লতিফ, আজগর, রুস্তমসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কাঁচি সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। এখানে এসে তিনজন তিনটা মাথাল কিনলাম। এবার যারা ক্রয় করবে তাদের বাড়িতে গিয়ে কাজ করব।
বেড় ও মাথাল বিক্রেতা সুবাস বিশ্বাস বলেন, সারা বছর বাঁশ-বেতের অন্যান্য গৃহ সামগ্রী বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় , প্রতি ধানের মৌসুমে মাথাল, ধামা, কুলা ও চাটাই বিক্রি করে তার তিনগুন টাকা আয়। আর এজন্য বছরের অন্য সময় নানাবিধ কাজ করলেও ধানের মৌসুমে শুধুমাত্র কৃষি সামগ্রী বিক্রিতে ব্যস্ত থাকেন তারা। প্রতি মৌসুমে প্রায় লাখের বেশি টাকার বেশি আয় করা যায়।
অপর একজন বিক্রেতা রনজিৎ কুমার জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর গরম একটু বেশি পড়ায় মাথাল অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে তবে অন্য কৃষি সামগ্রীও মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে।
পিডিএস/জেডকে