সিলেট প্রতিনিধি

  ২৪ মে, ২০২৪

সিসিকের সমালোচিত হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিল করলেন মেয়র

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

চলমান আন্দোলন প্রতিবাদের মুখে ২৭টি ওয়ার্ডের বর্ধিত গৃহকর বাতিল ঘোষণা করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। শুক্রবার (২৪ মে) রাত ৯টায় সিলেট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এ ঘোষণা দেন।

এর আগে নগর ভবনের সভাকক্ষে সিসিকের কাউন্সিলরদের নিয়ে জরুরি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং কাউন্সিলরবৃন্দের সর্বসম্মতিক্রমে সকল হোল্ডিংয়ের অ্যাসেসমেন্ট-রিঅ্যাসেসমেন্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং ৪২টি ওয়ার্ডের হোল্ডিং সমূহে নতুন করে রিঅ্যাসেসমেন্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, একই সাথে নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৫টি ওয়ার্ডের অ্যাসেসমেন্ট কার্ক্রমচালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় অব্যাহত থাকবে। বকেয়া প্রদানের জন্য আহবান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলরদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সম্মানীত নাগরিকদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে ২৭টি ওয়ার্ডের হোল্ডিং ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট-রিঅ্যাসেসমেন্ট বাতিল করে হোল্ডিং সমূহে নতুন করে রিঅ্যাসেসমেন্ট ও একই সাথে নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৫টি ওয়ার্ডের অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মেয়র বলেন, এর আগে আমি সম্মানিত নাগরিকদের কাছে বারবার বলেছিলাম যে, জনগণের জন্য অকল্যাণ হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমি নেব না। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ব তাদের মতামতকে মূল্যায়ন করা। জনগণ ও কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে চলমান অ্যাসেসমেন্ট বাতিল করে নতুন করে রিঅ্যাসেসমেন্ট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানের জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানান তিনি।

আমার অনুরোধের প্রেক্ষিতে চলমান অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে নাগরিকরা খুবই ধৈর্যশীলতার সাথে আমার অনুরোধ রেখেছেন। এ জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

মেয়র আরও বলেন, ‘নগরবাসীর সাথে নগরীর কল্যাণে নিয়ে যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। জনগণের প্রতিষ্ঠানে জনমত প্রাধান্য পাবে’।

এ সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, সচিবসহ বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সিলেটে নতুন আরোপিত গৃহকর নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে আন্দোলনে রাজপথে মানববন্ধনও করেন নগরবাসী। নগরবাসীর মতে, বাতিল হওয়া গৃহকরে ৫ থেকে ৫০০ গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আন্দোলন ও সমালোচনার পর সিসিক থেকে জানানো হয় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহকর রিঅ্যাসেসমেন্ট করা হবে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সিসিক মেয়র,হোল্ডিং ট্যাক্স,বাতিল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close