নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ নভেম্বর, ২০২১

‘জাহাঙ্গীরের মেয়র পদ থাকছে কি না দু-এক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজীপুরের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়র পদ থাকবে কি না, সে বিষয়ে দু-এক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, জাহাঙ্গীর আলমের মেয়র পদে থাকা না থাকা নিয়ে এ আইন পর্যালোচনা করছে সরকার।

বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরের বিষয়ে আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে, আরো দু-এক দিন সময় লাগবে। তারপরই বলা যাবে ওনার অবস্থান কী হবে? আইনি দিক দেখার আগে এখনই বলা যাচ্ছে না তার বিষয় কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

একটি ভাইরাল অডিওতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মেয়র জাহাঙ্গীরের বক্তব্য তোলপাড় হয় গাজীপুরে। এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরকে শোকজ করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ১৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভায় মেয়র জাহাঙ্গীর প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানে জাহাঙ্গীর আলমকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। ওইদিন রাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে চিঠি দেওয়ার কথাও জানান।

এদিকে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, জেলা পরিষদ আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়ররা জেলা পরিষদের সদস্য হবেন।

জেলা পরিষদের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রতি জেলায় একজন চেয়ারম্যান, ১৫ সদস্য ও ৫ মহিলা সদস্য অর্থাৎ ২১ সদস্যের পরিষদ রয়েছে। প্রস্তাবিত সংশোধনে জেলার প্রতি উপজেলায় একজন করে সদস্য এবং সদস্য সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য রাখার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছিল। ১৭ উপজেলা নিয়ে কুমিল্লা জেলা। আবার তিনটি উপজেলা নিয়ে রয়েছে নড়াইল জেলা।

প্রস্তাবিত সংশোধনের যুক্তিতে বলা হয়েছে, ছোট আয়তনের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের জন্য যে খরচ সরকার দেয়, বড় আকারের জেলার জন্যও তাই দিতে হয়। কিন্তু ছোট আকারের জেলাগুলো থেকে তেমন রাজস্ব আদায় হয় না। তাই প্রতি জেলায় উপজেলা অনুযায়ী একজন করে সদস্য এবং সেই অনুযায়ী নারী সদস্য সংখ্যা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন এ ব্যবস্থা কার্যকর করতে আইনের ১৭(১)(২) ধারাও সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া বিদ্যমান আইনের ৪৯, ৩৩, ৩৭ নম্বর ধারায়ও কিছু সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close