ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন প্রজননক্ষেত্রের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় সবধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং কেনাবেচা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

গতকাল রোববার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভা শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সভায় মৎস্য সচিব রইছউল আলম মন্ডল, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইসলাম আলী ও সাধারণ সম্পাদক ফনী ভূষণ মালোসহ নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, পুলিশ, বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রজননক্ষেত্র হিসেবে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের শাহের খালী থেকে হাইতকান্দি পয়েন্ট, তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন থেকে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট, কলাপাড়ার লতা চাপালি পয়েন্ট এবং কুতুবদিয়ার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গ্রামার পয়েন্টকে শনাক্ত করা হয়। অন্যদিকে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরিয়তপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার সব নদ-নদীতে এ সময় সবধরনের মাছধরা বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়াও দেশের সুন্দরবনসহ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং মোহনাসমূহেও এই ২২ দিন মাছধরা বন্ধ থাকবে। দেশের মাছঘাট, আড়ত, হাটবাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় এই সময়ে অভিযানও পরিচালিত হবে।

"