আবু তাহের

  ২৯ মার্চ, ২০১৭

পর্যালোচনা

পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষমতাধর দেশ

বিশ্বব্যাপী পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে সোমবার ১০০টিরও বেশি দেশের অংশগ্রহণে প্রথম জাতিসংঘ বৈঠক শুরু হয়েছে। বিস্ময়ের বিষয় হলো প্রধান পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো এই বৈঠকের বিরোধিতা করেছে। শান্তির বারতায় অশান্তির ডাক।

জাতিসংঘের প্রায় ১২৩টি সদস্য রাষ্ট্র অক্টোবর মাসে আইনগতভাবে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ চুক্তির ব্যাপারে আলোচনার লক্ষ্যে জাতিসংঘের এই সম্মেলন শুরুর ঘোষণা দেয়। ঠিক এই সময়ে বিশ্বের অধিকাংশ ঘোষিত ও অঘোষিত পরমাণু অস্ত্রধারী রাষ্ট্র এই বৈঠকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইসরায়েল, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এই বৈঠকের ওপর না ভোট দিয়েছে। অপর পরমাণু অস্ত্র ক্ষমতাধর দেশ চীন, ভারত ও পাকিস্তান ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। এমনকি পরমাণু অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত একমাত্র দেশ জাপানও বৈঠকটির বিরুদ্ধে মত দিয়েছে।

গত বছর জাপান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এটি ছিল ঐতিহাসিক সফর। বিষয়টি ওবামার কথায়ও টের পাওয়া যায়। জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, ইতিহাসবিদদেরও চাওয়া ছিল হিরোশিমায় যাওয়ার। সাড়ে সাত বছর ধরে একজন নেতা হওয়ার পরও এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে আমার অনেক সময় লেগেছে। বিষয়টি ঐতিহাসিক হওয়ার পেছনে মূল যে কারণ তা হলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা কর্তৃক জাপানের হিরোশিমা ও নাগাশাকিতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাপান সফরে আমরা বিশ্ববাসী কিছুই আশা করতে পারিনি। আর আজ এই সম্মেলনে না ভোট দেওয়ায় সব আশায় গুড়েবালি।

১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় যুক্তরাষ্ট্রের ছুড়ে দেওয়া পারমাণবিক বোমায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়। এর তিন দিন পর নাগাশাকিতে আরো একটি বোমায় ৭৪ হাজার মানুষ মারা যায়। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে হিরোশিমা শহরের আকাশে উড়ে এসে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২৯ বোমারু বিমান এনোগা গে হামলা চালায়। বোমাটি মাটি থেকে প্রায় ৬০০ মিটার উঁচুতে বিস্ফোরিত হয়।

৬ আগস্ট হিরোশিমা দিবসে হারানো মানুষদের স্মরণ করে জাপানজুড়ে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এই সময়ে হিরোশিমার মূল শহর বোমায় ঝলসে গিয়েছিল। অসহ্য যন্ত্রণায় প্রাণ গিয়েছিল শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ অসংখ্য মানুষের। পারমাণবিক বোমার সেই ক্ষত আজো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে হিরোশিমাবাসীদের। পারমাণবিক বোমার রাসায়নিক ক্রিয়ার প্রভাবে জন্ম নেয় বিকলাঙ্গ শিশু।

হিরোশিমা দিবসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে পারমাণবিক বোমামুক্ত একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান। জাতিসংঘ আজ সেই একই স্লোগান তুলে সম্মেলনের আয়োজন করল। কিন্তু তখন শিনজো অ্যাবের ওই কথার সঙ্গেও ঐকমত্য পোষণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি এনএইচকে-কে বলেন, ‘সারা বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আমি গত কয়েক বছর ধরে প্রচার চালিয়ে আসছিলাম। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতিও হয়েছে। প্রধান প্রধান দেশগুলোও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে বিরত থাকতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। বলতে গেলে জাপানে আমার সফর মূলত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা।’ তিনি আরও বলেছিলেন, পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী এ অভিযানে রাশিয়াকে আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করেও আমি পারিনি। তারা আমার আহ্বানে সাড়া দেয়নি।

আমরা বিশ্ববাসী এমনটাই আশা করি। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই আহ্বান বাস্তবের সঙ্গে কতটা সংগতিপূর্ণ? আজ এই ক্ষণে এসে আমরা তার উল্টো রূপ দেখতে পেলাম। জাতিসংঘের আহ্বানে শক্তিধর এই দেশগুলো এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

বেশ কিছুদিন পূর্বে উত্তর কোরিয়া বিশ্বের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র এমন মন্তব্য অসংখ্যবার করেছে। বিভিন্ন সময়ে একই প্রেক্ষাপটে তারা একই মন্তব্য বহুবার করেছে। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করে তারা বিভিন্ন সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে আক্রমণ করেছে। আমরা কিছুটা পেছনে ফিরে তাকালেই দেখতে পাই, বিভিন্ন সময়ে যখন যেই দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরূপ হয়েছে তাকেই তারা সন্ত্রাসবাদের আস্তানা বানিয়েছে। নানা অজুহাত দাঁড় করিয়ে সেই দেশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে তারা। পরবর্তীতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা তাদের ভুল স্বীকার করেছে। কিন্তু ততক্ষণে তাদের স্বার্থ হাসিল।

জন কেরি উত্তর কোরিয়াকে বিশ্বের জন্য হুমকি মনে করেছেন। কারণ তারা পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ। এটা জন কেরি নিজেও বলেছেন। যদি পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ একটা দেশ বিশ্বের জন্য হুমকি হয় তবে তো স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র নিজেও বিশ্বের জন্য হুমকি। কিন্তু এ কথা বলা অবান্তর। কারণ যুক্তরাষ্ট্র এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে। দেখেও আজ অনেকে না দেখার ভান করছে, শুনেও না শোনার ভান করছে। এর বিকল্প হিসেবে হয়ত কিছু করারও নেই।

কিন্তু আজ পর্যন্ত এই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার কেউ দেখেনি, যা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বেলায় খাটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তারাই একমাত্র পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জাপানে। বিশ্বের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন ছিল সেটি। আর সেই কলঙ্ক লেপে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারপরও তারাই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপারে স্বোচ্চার। কিন্তু ওই দিনটির ব্যাপারে সারা বিশ্ব মমতা দেখালেও যুক্তরাষ্ট্র এর বিপক্ষে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর ঘোষণার পর সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েক দফা বিক্ষোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ছুড়ে দেওয়া পারমাণবিক বোমা হামলার জন্য ওবামার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা দাবি করেছিল। রাজধানী টোকিওতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বেঁচে থাকা কয়েকজন এক সংবাদ সম্মলনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে ওবামাকে এর জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায়।

কিন্তু হিরোশিমায় ঐতিহাসিক সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জাপানিদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি হিরোশিমায় ক্ষমা চাইব না।’ তিনি বলেন, যেকোনো যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সে সময়ের নেতারা নিয়ে থাকেন। আর আমার হিরোশিমার সফর মূলত অতীতে ফিরে যাওয়া নয়।

ওবামার এই বক্তব্য পারমাণবিক ইস্যুটি শান্তির দিকে যাবে নাকি সংঘাতের দিকে যাবে তা স্পষ্ট হলো না। কারণ জন কেরির উপরোক্ত বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়, তারা তাদের ও তার মিত্রদের স্বার্থরক্ষায় যেকোনো কিছু করতে বদ্ধপরিকর। তাই ওবামার এই বক্তব্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব সবাই মেনে নিতে কিন্তু প্রস্তুত নয়। যেমন-উত্তর কোরিয়া বা রাশিয়া। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়ার রয়েছে প্রায় ৫,০০০ বিভিন্ন শ্রেণির কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে সাড়ে চার হাজারের মতো। এছাড়া পাকিস্তান তার পরমাণু বোমার মজুদ বাড়াচ্ছে বিপুল পরিমাণে। যার মজুদ ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়।

ইরান পরমাণু অস্ত্রের ভা-ার গড়ে তুলছে এই স্লোগান বহু আগেই উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময়ে ইরানের ওপর নানান অবরোধ, নিষেধাজ্ঞা জরি করেছে। জাতিসংঘ কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে ইরানের পরমাণু বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু ফল শূন্য। অবাক করা বিষয় হলো, পরমাণু বিষয়ে ১৯৬৮ সালে যে এনপিটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তাতে বলা হয়েছে, ‘সকল ন্যাটো বহির্ভূত দেশগুলো আইএইএর মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্রের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার করবে এবং এসব উপাদানের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে অন্যান্য কর্মকা- পরিচালনা করবে। ধারা-১, ধারা-২ অনুসারে যদি কোনো পক্ষ পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, গবেষণা ও উৎপাদন করে তাহলে তাকে কেউ অপসারণ করতে পারবে না। সকল পক্ষ যদি চুক্তিটিকে সহজ করতে চায় এবং এতে অংশগ্রহণপূর্বক শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার করতে চায়, তবে তারা পারমাণবিক শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের লক্ষ্যে এর উৎপাদন যন্ত্রাংশ, প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক তথ্যাদির আদান-প্রদান করতে পারবে। বিশেষ করে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য চুক্তির পক্ষসমূহ ভবিষ্যতে এর আরো উন্নতি ঘটাতে একে অপরকে সাহায্য করতে পারবে।’

কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে এর উল্টো। নতুন করে যে দেশই পারমাণবিক শক্তিধর হিসেবে আবির্ভূত হতে চাচ্ছে তাকেই দমানো হচ্ছে নানান অজুহাতে। জন কেরির প্রসঙ্গ টেনেই বলা যায়, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালায়। আর এর প্রেক্ষিতেই যুক্তরাষ্ট্রের অজুহাত পেশ করার সুযোগ এসে যায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫৪ সালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রথম হাইড্রোজেন বোমা ‘ক্যাসল ব্রাতো’র পরীক্ষা করে, অনুমিত পরিমাণের অনেক বেশি ক্ষতিসাধিত হয় এতে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানোর সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা।

এতে হয়ত কিছু যায় আসে না। ক্ষমতাধর দেশগুলোর নীতি বরাবরই এমন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পূর্বে হিলারি ক্লিনটন বলেছিলেন, পারমাণবিক অস্ত্রবিস্তার তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি। সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার এবং পারমাণবিক সামগ্রী বিপথগামীদের হাতে চলে গেলে তা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি হবে। যুক্তরাষ্ট্র যদিও প্রকাশ্যে বলছে, কিন্তু অন্যদেশগুলো কিন্তু থেমে নেই।

১৯৯৬ সালে সিটিবিটি নামক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যার উদ্দেশ্য ছিল, সকল প্রকার পারমাণবিক বিস্ফোরণ নিষিদ্ধ করা। এতে ১৮২টি দেশ স্বাক্ষর করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ স্বাক্ষর না করায় চুক্তিটি কার্যকর হয়নি। পারমাণবিক অস্ত্র যদি বিশ্বের জন্য হুমকিই হয়, তবে দেশগুলো কেন এতে স্বাক্ষর করেনি? বিষয়টি পানির মতো স্বচ্ছ ও পরিষ্কার।

জাতিসংঘের এই বৈঠকটির বিরোধিতার বিষয়ে জাপানের যুক্তি হলো, ঐক্যের অভাবে এ ধরনের আলোচনা পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কার্যকর প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। তবু অনেক দেশই আশার আলো দেখাচ্ছে। বৈঠকের পক্ষে যে রাষ্ট্রগুলো রয়েছে তাদের মধ্যে অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সুইডেন অন্যতম। এছাড়াও কয়েকশ’ এনজিও বৈঠকের পক্ষে মত দিয়েছে। তারা বলেছে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ও ওয়াশিংটনের নতুন হঠকারী প্রশাসনের কারণে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পরমাণু বিপর্যয়ের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে এই নীতি বিশ্ব পরিবেশকে ক্রমশ অসহিষ্ণু করে তুলছে। তাদের এই একচ্ছত্র কর্তৃত্ব বিশ্বের অনেক ক্ষমতাধর দেশই মেনে নিতে পারছে না। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। ক্রমশ বাড়ছে অস্ত্রের মজুদ। যে যার যার মতো করে শক্তি দেখাচ্ছে। আর এতে করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে বারবার। একবার আইনস্টাইনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে?’ আইনস্টাইনের উত্তর ছিল ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে জানি না, তবে চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধ যে লাঠি এবং পাথর দিয়ে হবে তা বলতে পারি।’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে যুদ্ধরত প্রতিটি দেশই পারমাণবিক বোমার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। যুদ্ধের কারণে তারা ছিল ক্ষতিগ্রস্ত। অপেক্ষাকৃতভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রও এগিয়ে গেল পারমাণবিক বোমার দিকে। আর এখন ক্ষমতাধর সবাই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী। বাকি শুধু যুদ্ধের।

লেখক : শিশুসাহিত্যিক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist