reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৩ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদযাত্রায় সড়কে দুর্ভোগ কাম্য নয়

প্রতি বছর ঈদে ঘরমুখো মানুষ নানা বিড়ম্বনায় পড়ে। পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। বিশেষ করে সড়কপথে শঙ্কা কমছে না। বিভিন্ন স্থানে সড়ক সংস্কারের কারণে যানজট হতে পারে। ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে হলে আগে থেকেই সড়ক-মহাসড়ক ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়াতে হবে। এমনিতেই দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোর একটি বড় অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। এবারের ঈদযাত্রায় ৫ মহাসড়কের ১২২ স্পটে বিপদের শঙ্কা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে বেশি যানজটপ্রবণ ৫৯টি এবং কম যানজটপ্রবণ ৬৩টি জায়গা চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। বাড়তি যানবাহন আর সড়কে উন্নয়ন কাজের জন্য এসব স্পটে যানজটের ভোগান্তি হতে পারে ঈদে বাড়িফেরা যাত্রীর।

বলা সংগত, ঈদযাত্রার আগে ভোগান্তিতে পড়তে হয় উত্তরাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের। এবারও ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকার সীমাহীন দুর্ভোগের শঙ্কায় আছেন যাত্রী ও চালকরা। এর জন্য দায়ী সড়কের উন্নয়নকাজ ও অব্যবস্থাপনা। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, মহাসড়ক কোথাও চার লেন, কোথাও দুই লেন। এতে চার লেনের যানবাহন দুই লেনে পড়ে আটকে যায়। আবার কোথাও কোথাও চার লেন, ওভারপাস-আন্ডারপাস ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ আর মহাসড়ক সংস্কারকাজ চলমান থাকাও যানজটের কারণ হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে ফেনীর মোহাম্মদ আলী সড়ক পর্যন্ত ১০৩ কিলোমিটার মহাসড়কে যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের একাধিক ইউনিট এবং কমিউনিটি পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া নবীনগর-চন্দ্রা সড়কের বলিভদ্র বাজার, শ্রীপুর ও চক্রবর্তী অংশে মেরামতকাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারে সেতু ও সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ হতে পারে- বলছেন যাত্রী ও চালকরা। ভোগান্তির শঙ্কা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কেও। ঈদের সময়ে দেখা যায়, অনেক ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চ নতুন রং লাগিয়ে চলাচল করে। দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তখন বাসের বা লঞ্চের মালিককে শনাক্ত করাও অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। তাই দুর্ঘটনা ঘটার আগে তা প্রতিরোধে করণীয় ঠিক করতে হবে। দুর্ঘটনা এড়িয়ে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হলে মোটরসাইকেল চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সড়কে এখন সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেলের কারণে। তা ছাড়া ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচলে পুলিশ এবং সংশ্লিষ্টদের নজরদারি জোরদার করতে হবে।

বলাবাহুল্য, বিগত বছরগুলোতে ঈদের সময় রাস্তাঘাটের দুরবস্থার কারণে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়া, যানবাহন গন্তব্যে পৌঁছাতে কয়েক গুণ সময় বেশি লাগা, যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হওয়াসহ নানা রকম বিপদ-ভোগান্তির অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে। আমরা নিশ্চয় এমন অবস্থায় পুনরাবৃত্তি চাই না। অনতিবিলম্বে দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ও সড়কগুলো সংস্কার করে নিরাপদ যান চলাচল উপযোগী করতে হবে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নের নামে জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে সংস্কারকাজ করা হয়, যা প্রকৃতপক্ষে কোনো কাজে আসে না। রাস্তাঘাটের সংস্কারে গাফিলতির কারণে কারো ঈদ আনন্দ যেন ভেস্তে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close