reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

রসুল (স.) আগমনের দিনের ফজিলত

পূর্বে উল্লিখিত আয়াতে কারিমা সম্পর্কে আল্লামা সুবুকি (রা.) বলেন, এ আয়াতে আগত রসুল বলতে আখেরি নবী মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বোঝানো হয়েছে এবং কোন রসুলকে রিসালাত দেওয়া হয়নি। মূলত কোন নবী (আ.)কে নবুয়ত দেওয়া হয়নি এবং কোনো রসুলকে রিসালাত দেওয়া হয়নি, যতক্ষণ না তারা সাইয়্যিদুল মুরসালিন, ইমামুল মুরসালিন, খাতামুন্নাবিয়িন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর ঈমান না এনেছেন অর্থাৎ তারা সবাই সাইয়্যিদুল আম্বিয়া হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে সম্যক অবগত ছিলেন। তাই সাল্লামের মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে সম্যক অবগত ছিলেন। তাই খতামুন্নাবিয়িন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বরকতময় আবির্ভাবের আগেই তারা তার সম্মানিতা মাতা হজরত আমিনা (রা.) কে ধারাবাহিকভাবে মোবারকম্যভাবে মোবারকময় স্বপ্নে সে সুসংবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

হজরত আমিনা (রা.) বলেন, যখন আমি আমার প্রাণপ্রিয় মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে রেহেম শরিফে ধারণ করলাম, ধারণ করার প্রথম মাস হলো রজবুল আসাম, সে মাসে একসময় আমি একরাত্রে স্বপ্নের আবেশে ছিলাম। তখন আমার কক্ষে প্রবেশ করলেন এক ব্যক্তি যিনি ছিলেন লাবণ্যময় চেহারাবিশিষ্ট সুঘ্রাণে ভরপুর এবং আলোকোজ্জ্বল। তিনি বলছিলেন, ইয়া মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে স্বাগতম। আমি হজরত আমিনা (রা.) তাকে প্রশ্ন করলাম, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি মানবজাতির পিতা হজরত আদম (আ.)। আমি বললাম, আপনার অভিপ্রায় কী? তিনি বললেন, হে হজরত আমিনা (রা.)! আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আপনি মূলত রেহেম শরিফে ধারণ করেছেন, যিনি রবিয়া ও মুদার গোত্রের ফখর (গৌরবের কারণ)। যিনি সাইয়্যিদুল বাশার।

যখন দ্বিতীয় মাস (শাবান) সমাগত হলো তখন এক ব্যক্তি আমার কাছে আগমন করলেন। তিনি বললেন, আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি (হজরত আমিনা (রা.) তাকে বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি হজর শিশ (আ.)। আমি বললাম, আপনার অভিপ্রায় কী? তিনি বললেন, হে হজরত আমিনা রেহেম শরিফে ধারণ করেছেন, যিনি রহস্যের উন্মোচক এবং (জাওয়ামিউল কালাম) সহেবে হাাদস।

তৃতীয় মাস (রমজান) যখন আগমন করল, তখন আমার কাছে এলেন (স্বপ্নে) এক ব্যক্তি। তিনি বললেন, আসসালামু আলাইকা ইয়া নাবিআল্লাহ! আমি (হজরত আমিনা (রা.) তাকে বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি হজরত ইদ্রিস (আ.)। আমি বললাম, আপনার অভিপ্রায় কী? তিনি বললেন, হে হজরত আমিনা (আ.)! আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন। নিশ্চয় আপনি আম্বিয়া (আ.) গণের সর্দারকে রেহেম শরিফে ধারণ করেছেন।

চতুর্থ মাস (শাওয়াল) যখন আগমন করল, তখন এক ব্যক্তি আমার কাছে আগমন করলেন। তিনি বললেন, আসসালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহ! আমি বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, হে হজরত আমিনা (রা.)! আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন। নিশ্চয় আপনি রেহেম শরিফ ধারণ করেছেন, যিনি সাহায্য ও বিজয়ের সাহিব বা অধিকারী।

পঞ্চম মাস (জিলকদ) যখন আগমন করল, তখন এক ব্যক্তি আমার কাছে আগমন করলেন। তিনি বললেন, আসসালামু আলাইকা ইয়া সাফওয়াতাল্লাহি! হে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নিদর্শন! আপনার প্রতি সালাম। আমি (হজরত আমিনা (রা.) তাকে বললাম আপনি রেহেম শরিফে ধারণ করেছেন প্রতিশ্রুত দিবসের (হাশরের দিনের) শাফায়াতে উজমার যিনি অধিকারী বা মালিক হবেন তাকে।

ষষ্ঠ মাস (জিলহজ) যখন আগমন করল, তখন এক ব্যক্তি আমার কাছে আগমন করলেন। তিনি বললেন, আসসালামু আলাইকা ইয়া রহমাতাল্লাহ! হে আল্লাহর রহমত, আপনার প্রতি সালাম। আমি (হজরত আমিনা (রা.) তাকে বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি হজরত ইবরাহীম খলিল (আ.)। আমি বললাম, আপনার অভিপ্রায় কী? তিনি বললেন, হে হজরত আমিনা (রা.)! আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন। কেননা আপনি রেহেম শরিফে ধারণ করেছেন মহাসম্মানিত নবীকে। চলমান...

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close