মো. সিফাতুল্লাহ তাসনীম, ঢাবি

  ০২ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাবির হলে হলে ইফতারের আমেজ

চলছে পুণ্যতা ও পবিত্রতার মাস মাহে রমজান। রমজানের পবিত্রতা বিরাজ করছে সর্বত্র। এই আমেজ থেকে বাদ যায়নি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও। শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে ইফতারি করছেন মলচত্বর, টিএসসি, বটতলাসহ হলের মাঠ ও গার্ডেনগুলোতে। বিভিন্ন জেলা সংগঠন, হলের নানা সংগঠন যেমন বাঁধন, ডিবেটিং ক্লাব এবং হলের ডিপার্টমেন্ট কেন্দ্রিক গ্রুপগুলোর উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে ইফতার মাহফিল।

ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, শরবত, কলা, পেয়ারাসহ ইফতারসামগ্রী থাকছে শিক্ষার্থীদের এসব ইফতার আয়োজনে। কেউ ছবি তুলে পোস্ট করছেন ‘ইফতারি ডান’, কেউ বা লিখছেন ‘হ্যাশট্যাগ মাহে রমাদান’। শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে মিলেমিশে করছেন এই ইফতার আয়োজন। কারো দায়িত্ব হলপাড়া থেকে ভাজাপোড়া কেনার, কেউ বা দায়িত্ব নিয়েছেন শরবত তৈরি করার, আবার কারো ওপর পড়েছে ছুরি দিয়ে ফলমূল কেটে প্লেটে সাজানোর।

ঢাবির প্রায় সব ডিপার্টমেন্টের ক্লাস খোলা থাকায় বাড়িতে যেতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। তাই মা-বাবা-স্বজনকে দূরে রেখে বন্ধু-বান্ধব-সহপাঠী মিলেই যেন অভাব পূরণ করছেন পরিবারের। বিকালের পরই উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়ে যায় ইফতার তৈরি ও বাজারের কার্যক্রম। দলবেঁধে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের নির্ধারিত জায়গায় জড়ো হতে থাকেন। অতঃপর একসাথে বসে ইফতার প্রস্তুতের ফাঁকে সবাই মিলে ভাব বিনিময় করেন। বিভিন্ন হলের টিভিরুম বা অডিটোরিয়ামেও আয়োজিত হচ্ছে ইফতার মাহফিল। ইফতারি সামনে নিয়ে সবাই অপেক্ষায় থাকেন মাগরিবের আজানের। অতঃপর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মাগরিবের সময় হলে মসজিদ থেকে ভেসে আসে সুমধুর আজান, পূর্ণতা পায় দিনব্যাপী সিয়ামণ্ডসাধনা পালনের।

ইফতারের সময়েই নয়; সাহরীর সময়েও বন্ধুরা মিলে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। হলের কোনো কোনো কক্ষে বন্ধুরা মিলে প্রস্তুত করেন সাহরির খাবার, আবার দলবদ্ধভাবে হল ক্যান্টিন বা নিকটস্থ সুপরিচিত মামা হোটেলেও যান কেউ কেউ।

রমজানের এই পবিত্রতা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বিরাজ করুক সারাটি বছর জুড়ে- এটিই প্রত্যাশা বাড়ি ছেড়ে আসা সব ঢাবি শিক্ষার্থীর।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close