reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৯ মার্চ, ২০২৩

সিকৃবিতে শেষ হলো জমজমাট ‘স্পোর্টস উইক’

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা সহশিক্ষা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এরই ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ফ্যান্টাসি স্পোর্টস উইক’। টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি কাটাতে মাঝেমধ্যেই এমন আয়োজন অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কৃষি অনুষদের কিছু উদ্যমী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ক্রিকেট, দাবা, ক্যারম, ব্যাডমিন্টন ও পোকারসহ পাঁচটি ইভেন্ট নিয়ে আয়োজিত হওয়া ক্রীড়া সপ্তাহের পর্দা নেমেছে। এই আয়োজনের আদ্যপ্রান্ত জানাচ্ছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দ জাহিদ হাসান

ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন থ্যানোস

আটটি দলে ভাগ হয়ে দুটি গ্রুপে খেলার আয়োজন করা হয়। এতে থ্যানোস ও লকি দুটি দল ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। দলগুলোর নাম নির্বাচনে বিভিন্ন সুপার পাওয়ার চরিত্রগুলোকে তুলে আনা হয়েছিল। অন্য দলগুলো হলো- আল্ট্রন, হকাই, হাল্ক, থর ভেনম ও ব্ল্যাক প্যান্থার।

দাবা খেলায় চ্যাম্পিয়ন আজিম খান

আটটি দল নিয়ে দাবা খেলা শুরু হয়। এতে গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনাল পার হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় নবীনতম শিক্ষার্থী আজিম খান এবং রানার আপ হয় আশরাফুল বারী সাকিব।

ব্যাডমিন্টন খেলায় সেরা সাদমান সাকিব ও অভি কুমার বাধন

দুদিনব্যাপী তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় সাতটি দলকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হয় অভি কুমার বাধন ও সাদমান সাকিব এবং রানার্সআপ হয় তনয় রায় ও প্রান্ত ইসলাম।

ক্যারামেও সেরা সাদমান সাকিব ও অভি কুমার বাধন

ক্যারাম (দ্বৈত) চ্যাম্পিয়ন হয় কৃষি অনুষদের ১২তম ব্যাচের সাদমান সাকিব ও অভি কুমার বাধন এবং রানারআপ হয় আজিম খান ও মো. আবদুন নূর ওয়াসি।

পোকার খেলায় সেরা হিমেল ও রব্বানী

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একঘেয়েমি কাটাতে প্রায়ই কার্ড খেলতে দেখা যায় আবাসিক শিক্ষার্থীদের। কার্ড খেলায় মস্তিষ্ক শানিত হয়। এরই অংশ হিসেবে পোকার খেলার আয়োজন করা হয়। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয় ১২তম ব্যাচের নাইমুর রহমান হিমেল ও গোলাম রব্বানী এবং রানারআপ হয় আজিম খান ও আবুদন নূর ওয়াসি।

ফ্যান্টাসি ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক তনয় কুমার রায় বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের একঘেয়েমি কেটে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অনুষদভিত্তিক ও হলভিত্তিক খেলাধুলার আয়োজন অত্যন্ত জরুরি।

আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য অভি কুমার বাধন বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের চিন্তার পরিবর্তন আসে। গঠনমূলক চিন্তা করতে পারি। আশা করি ভবিষ্যতে খেলাধুলা আয়োজনের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী প্রান্ত ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বারবারই পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক কর্মকান্ড করার উৎসাহ দেন। তারই অংশ হিসেবে আমরা এমন একটি আয়োজন করতে পেরেছি। প্রত্যাশা করি এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক আরো মজবুত হবে। এ ধরনের আয়োজন মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে ভূমিকা রাখবে।

সাত দিনব্যাপী আয়োজিত খেলায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা লক্ষ করা যায়। তবে কৃষি অনুষদের ১২তম ব্যাচের একদল তরুণ শিক্ষার্থী কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই সফলভাবে ক্রীড়া সপ্তাহটি শেষ করেছে।

শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় জমকালো আয়োজনের মাধ্য দিয়ে পর্দা নামে এই আয়োজনের। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জেষ্ঠ্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close