গুণগত শিক্ষা মানবিক সমাজের পূর্বশর্ত
ইউজিসি চেয়ারম্যান
গুণগত শিক্ষা মানবিক সমাজ গড়ার পূর্বশর্ত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। ২৯ জানুয়ারি সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, দারিদ্র্য ও মানবিক দারিদ্র্যকে দূর করে যে শিক্ষা মানব উন্নয়ন ঘটায়, তা টেকসই জ্ঞানভিত্তিক সমাজের জন্য অপরিহার্য। রাষ্ট্রপতি ও আশা ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলরের পক্ষে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবদুল মান্নান।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের সাবেক মন্ত্রী ও ফিলিপাইনসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট মিউচুয়ালি রিইনফোরচিং ইনস্টিটিউশনসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. জেমি এরিস্টটল বি. আলিপ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণ। আশা ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সফিকুল হক চৌধুরীর পক্ষে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম আবদুল আজিজ।
ডিগ্রিধারীদের উদ্দেশে ইউজিসি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আপনারা ভিশন ২০২১-এর লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হবেন এবং দেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত করতে ভূমিকা রাখবেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ড. জেমি এরিস্টটল বি. আলিপ চরিত্র গঠনের ওপরে গুরত্বারোপ করেন এবং সমাবর্তনে প্রাপ্ত ডিগ্রির সমতুল্য চরিত্র ও ব্যবহার বজায় রাখার আহ্বান জানান।
আশা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ডালেম চন্দ্র বর্মণ বলেন, আশা ইউনিভার্সিটির ভিশন হচ্ছে, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও নৈতিক মূল্যবোধের মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও জনগণের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে আশা ইউনিভার্সিটির শিক্ষাব্যবস্থা। ড. বর্মণ দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে নিজেদের নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম আবদুল আজিজ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, যেখানে নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা গুণগতমানের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে। আশা ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় সমাবর্তনে ৫৮৫৫ গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্য বি.ফার্মে সোহানা দিল আফরোজ এবং এমবিএতে প্রিসিলা জামান তন্বীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণ পদক দেওয়া হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"