প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন বেলারুশের
বেলারুশ ইউক্রেনের সঙ্গে থাকা তাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তের কাছে তিনটি এলাকায় বিশেষ অভিযানের বাহিনী মোতায়েন করেছে। মঙ্গলবার দেশটির সশস্ত্র বাহিনী এ কথা জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
বেলারুশ রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে যে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে, তাতে বেলারুশ থেকেও কয়েক হাজার রুশ সেনা অংশ নেয়। ওই সেনারা বেলারুশের সঙ্গে মহড়ায় অংশ নিতে দেশটিতে গিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘সর্বাত্মক হামলার’ নির্দেশের পর তারা সীমান্ত টপকে ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে।
মিনস্ক পরে মার্চে জানায়, তাদের সশস্ত্র বাহিনী মিত্র রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ অংশ নেবে না।
বেলারুশ কয়েক মাস ধরে তাদের সীমান্তে নেটোভুক্ত দেশগুলো সৈন্য জড়ো করছে বলে অভিযোগ করে আসছে। এর পাল্টায় মিনস্কও তার সামরিক মহড়ার পরিমাণ ও তীব্রতা বাড়িয়েছে।
রাশিয়া, ইউক্রেন ছাড়া বেলারুশের সীমান্তলাগোয়া বাকি তিনটি দেশ হচ্ছে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়া; এ তিন দেশই যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর সদস্য।
বেলারুশের চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভিক্টর গুলেভিচ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্ররা বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের সীমান্তে ধারাবাহিকভাবে তাদের সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলছে; গত ৬ মাসে পরিমাণ ও মাত্রাগতভাবে এই সৈন্য সমাবেশ দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।’
তিনি জানান, পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক মহড়ায় বেলারুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটও মোতায়েন করতে যাচ্ছে।
এদিকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেছেন, মিনস্ক যেন ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যবহৃত ইস্কান্দারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে পারে, সেজন্য তাদেরকে সাহায্য করতে রাজি হয়েছে মস্কো।
রাশিয়ার বানানো এস-৪০০ ও এস-৩০০ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা ব্যবহার বেলারুশ অব্যাহত রাখতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা বাস্তববাদী, নেটোকে যে হারাতে পারবো না তা বুঝি আমরা। তবে আমরা ক্ষতিসাধন করতে পারবো, বিশেষ করে সেসব ভূখণ্ডের, যেখান থেকে আমরা আক্রান্ত হবো।’
"