গাজীপুর প্রতিনিধি
চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা ৪ ভুয়া সেনা সদস্য আটক
সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেকার যুবকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চার ভুয়া সেনাকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে মেজর র্যাঙ্ক ব্যাজ, সেনাবাহিনীর পোশাক, ভুয়া নিয়োগপত্র, বিভিন্ন ধরনের সিল, বুট, সেনাবাহিনীর লোগোযুক্ত মোজা উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
আটকরা হলো ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার মহির খারুয়া গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয়দানকারী শাকিব হাসান লিটন ওরফে সাহাজ্জল হোসেন লিটন ওরফে মেজর নাঈম, নড়াইলের লোহাগাড়া থানার মইশাপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম দুলুর ছেলে সেনাবাহিনীর ভুয়া ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয়দানকারী মো. এমদাদুল ইসলাম ওরফে আকাশ ওরফে এনায়েত, মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার আবদুল্লাহপুর গ্রামের মৃত আকবর খানের ছেলে সেনাবাহিনীর অফিস সহকারী পরিচয়দানকারী মো. আবদুর রাজ্জাক ওরফে নজরুল ওরফে লাদেন ও দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানার বাওপুকুর গ্রামের মো. আব্বাস আলীর ছেলে মেজরের পিএ পরিচয়দানকারী মো. মঞ্জুরুল হোসেন মঞ্জু ওরফে আরিফ হোসেন।
পুলিশ সুপার জানান, ভুক্তভোগীদের কয়েকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে জয়দেবপুর থানার পুলিশ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বোর্ডবাজার ও জয়দেবপুর চৌরাস্তায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটকরা নিজেদের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা বিভিন্নজনকে সেনাবাহিনীতে নিয়োগপত্রও প্রদান করে। পরে ভুক্তভোগীরা চাকরিতে যোগদান করতে গিয়ে তাদের নিয়োগপত্রটি ভুয়া বলে জানতে পারেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে তারা।
জয়দেবপুর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এ প্রতারকচক্রটি হাইওয়ে রাস্তায় ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে আসা লোকজনদের কৌশলে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে র্যাব, ডিবি পরিচয় দিয়ে টাকা ছিনতাই করে অন্যত্র নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। চক্রটি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই এলাকার ৮ জনের কাছ থেকে ৫২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের শাহবাজপুর থানার পুটিয়া এলাকার ৯ জনের কাছ থেকে ৫৬ লাখ টাকা। একইভাবে সবুজ মোল্লার কাছ থেকে এক মাস আগে ৬ লাখ টাকা। আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
"