প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ এপ্রিল, ২০২৪

থাই সীমান্তবর্তী শহর মায়াবতী হাতছাড়া মিয়ানমার জান্তার

থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অন্যতম শহর মায়াবতী হাতছাড়া হয়েছে ক্ষমতাসীন জান্তাবাহিনীর। শনিবার জাতিগত কারেন বিদ্রোহীরা স্থলবাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। আজ-কালের মধ্যে সীমান্ত ব্যাটালিয়নের কয়েকশত সেনা আত্মসমর্পণ করবে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। খবর বিবিসির।

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে নেয় সামরিক জান্তাবাহিনী। তারপর থেকেই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে সামরিক সরকারকে। এরই মধ্যে বিদ্রোহীদের কাছে বেশ কিছু শহর ও সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তাবাহিনী।

সর্বশেষ জান্তাবাহিনী বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হলো কারেন বিদ্রোহীদের হাতে। দেশের পূর্ব সীমান্তে থাইল্যান্ড লাগোয়া শহর মায়াবতী দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে লড়াইয়ের পর শনিবার গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত শহর মায়াবতী হাতছাড়া হয় জান্তা বাহিনীর। থাইল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমারের স্থলবাণিজ্যের বেশির ভাগই সম্পন্ন হয় মায়াবতী হয়ে।

বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নসহ (কেএনইউ) অভ্যুত্থানবিরোধী মায়াবতীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। গত শুক্রবার মায়াবতী থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে থাঙ্গানিনাং শহরে অবস্থিত জান্তাবাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন আত্মসমর্পণ করেছে। এখন মায়াবতীর সীমান্ত রক্ষী শত শত সেনা আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কেএনইউ জানায়, মায়াবতীর অবশিষ্ট জান্তা ব্যাটালিয়নের সঙ্গে কারেন বাহিনীর আলোচনা চলছে, তারা আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছে। একটি বিশাল অস্ত্রাগার এরই মধ্যে হস্তগত করেছে কারেন যোদ্ধারা।

মায়াবতীর পতন সামরিক জান্তার জন্য একটি গুরুতর ধাক্কা। সম্প্রতি চীনা সীমান্তে শান রাজ্যের বিশাল এলাকা এবং বাংলাদেশের সীমান্তে রাখাইন রাজ্য থেকে জান্তা সেনারা বিতাড়িত হয়েছে।

কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতার পর থেকে জাতিগত কারেন জনগণের স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে। যদিও পক্ষটি ১৯৯০-এর দশকে সরকারি বাহিনীর হাতে পরাজিত হয় এবং ২০১৫ সালের দিকে কারেন বিদ্রোহীরা অং সান সুচির গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে জাতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ছিল। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে সু চির সরকার উৎখাত হওয়ায় তার সঙ্গে করা যুদ্ধবিরতিকে বাতিল ঘোষণা করে কেএনইউ। বর্তমানে অভ্যুত্থানবিরোধী শক্তি ও কেএনইউ মিলে জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close