প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথমবার সরাসরি ভোটের মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করবে বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন) বিজিএপিএমইএ। ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য আগামী ১১ মে এই নির্বাচন হবে। দ্বিবার্ষিক এই নির্বাচনে ২০ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছে ‘অ্যাকটিভ মেম্বার্স ইউনিয়ন’ নামে একটি প্যানেল। এতে সংগঠনের জন্য নতুন লক্ষ্য অর্জনের কথা বলা হয়েছে। এ প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন পলি প্ল্যান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাছিরুল আলম।

ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন আপনার অধিকার, আমাদের সাফল্য’ শীর্ষক স্লোগানকে ধারণ করে প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠান করেছে একটিভ মেম্বার্স ইউনিয়ন। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে নিপা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী অ্যাকটিভ মেম্বার্স ইউনিয়নের ২১ প্রার্থীর পরিচয় তুলে ধরেন। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ আলম ও বিজিএমইএর সহসভাপতি আশরাফ জামাল (দিপু) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজিবিএর বিভিন্ন পরিচালক এবং ঢাকা-চট্টগ্রামের বিভিন্ন গার্মেন্ট, অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পের মালিকরা।

সভায় প্যানেলটির কোর কমিটির প্রধান ও ব্রিটানিয়া লেবেল বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামিল আহেমদ বলেন, সদস্যদের প্রাণের দাবি রপ্তানিতে প্রণোদনা আদায়, কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা, নিজস্ব ভবন প্রতিষ্ঠা ও ব্যবসায়িক কাগজপত্র নবায়নের হয়রানি থেকে মুক্তি নিশ্চিত করা। আমাদের মেধা, দক্ষতা এবং যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে দাবিগুলো আদায়ে শতভাগ চেষ্টা থাকবে।

অনুষ্ঠানে অ্যাক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পকে ডিজিটাল, গতিশীল এবং এ খাতের উন্নয়নে ২০ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন প্যানেল লিডার মো. নাছিরুল আলম। তিনি বলেন, ৩৩ বছর পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে, এটাই আমাদের প্যানেলের প্রথম সফলতা। কারণ, ভোটের মাধ্যমে সদস্যদের যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করার সুযোগ থাকে। ভোট হলে সদস্যদের দাবি-দাওয়া আদায়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে আওয়াজ তোলা সম্ভব। তাই এখন থেকে সংগঠনটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হবে- নো সিলেকশন, অনলি ইলেকশন।

ইশতেহারে নাছিরুল আলম বলেন, সদস্যদের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে বিজিএপিএমইএকে। সাব-কমিটি গঠন করে যেকোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ গ্রহণ, ভারসাম্যপূর্ণ ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। বিশেষ করে কাস্টমস, বন্দর এবং বিভিন্ন দপ্তরের হয়রানি বন্ধে বেশি চেষ্টা থাকবে।

ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং রুগ্ণ শিল্প মালিকদের রক্ষার্থে তিনি বলেন, এসব শিল্পকে আর্থিক এবং লজিস্টিক সহায়তা দিতে আলাদা সেল গঠন করা হবে। একই সঙ্গে সরকারের নীতি সহায়তা এবং আর্থিক প্রণোদনা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

ইশতেহারে তিনি আরো বলেন, পরিবর্তিত বিশ্বের চাহিদা, টেকসই ও মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরিতে বিআইএফটির আদলে একটি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, বন্ডের মেয়াদ এক বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছরে উন্নীত এবং কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে উদ্যোগ থাকবে। এ ছাড়া ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে তথ্যভাণ্ডার হালনাগাদ করে প্রত্যেক সদস্যকে স্মার্ট কার্ড দেওয়ারও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পাশাপাশি বিজিএপিএমইএর ল্যাবকে আধুনিকায়ন এবং আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে বৈশ্বিক ক্রেতাদের স্বীকৃতি অর্জনে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। আবার নারায়ণগঞ্জকে সাব-জোন ঘোষণা করে সেখানকার সদস্যদের সব ধরনের সহযোগিতার অঙ্গীকারও করেন।

"