অপতথ্য রোধে সরকার, গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ অংশীজন হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে ইউনেস্কো, টিআইবি এবং আর্টিকেল নাইন্টিন আয়োজিত ‘বর্তমান বৈশ্বিক পরিবেশগত সংকটের প্রেক্ষাপটে মুক্ত গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা বন্ধ করতে সরকার, পেশাদার গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজ পরস্পরের অংশীদার হয়ে কাজ করতে পারে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের সর্বস্তরে অপতথ্যের অস্তিত্ব বিরাজ করে। তাই অপতথ্য প্রতিরোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরো বলেন, মনে রাখতে হবে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যাতে কোনো গোষ্ঠীর ক্ষতিকর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অপব্যবহার না হয়।

প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুজান ভাইজ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এবং মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক এবং ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক। প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন আর্টিকেল নাইন্টিনের বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মঞ্জুর-ই-আলম। প্যানেল আলোচনা শুরুর আগে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শামসুদ্দিন ইলিয়াস এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক উসরাত ফাহমিদা।

"