চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে ৩৩ নারীকে হত্যা করা হয়েছে। মোট ১৯৩ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৬ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।

এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে মোট ১৯৩ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৫ জন শিশুসহ ৪৬ জন। তার মধ্যে ১২ জন শিশুসহ ১৫ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, একজন শিশুসহ তিনজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, একজন শিশু ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া চার শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

এ ছাড়া এতে উল্লেখ করা হয়, পারিবারিক সহিংতায় শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে চারটি। তিনজন শিশুসহ চারজন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় একজনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দুজন শিশুসহ ১৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ছয়জন শিশুসহ ১৫ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তিনজন শিশু অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। একজন শিশুকে অপহরণের চেষ্টা, ফতোয়ার ঘটনার শিকার হয়েছে দুজন। তিনজন শিশুসহ পাঁচজন সাইবার ক্রাইমের ঘটনার শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ১২টি। এ ছাড়া দুজন শিশুসহ ১৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৫ শিশুসহ ৯ জন, উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ১ জন শিশুসহ ২ জন। বিভিন্ন কারণে ৭ জন কন্যাসহ ৩৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ জন কন্যাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনা ঘটেছে ১ শিশুসহ ২টি। অ্যাসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন। ১ জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩ জন, এর মধ্যে ১ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৬ জন, এর মধ্যে ২ জন শিশু। প্রসঙ্গত, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৬টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

"