নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২৬ মার্চ, ২০২৪

রূপগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ৮

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়ায় জমি ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিশুসহ অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৬টায় উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামে কায়েতপাড়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- শিশু মো. আরিফ (৯), মুক্তার হোসেন (৬০), মো. আকবর (২৪), তাজেল (৩৬), জয়নাল (৩৫), শামীম (২৫), নুর হোসেন (২৪) ও রোমান (২০)। তারা সবাই মোশারফ হোসেনের অনুসারী। তবে এ ঘটনায় রফিকুলের অনুসারী কেউ আহত হননি। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আহত ব্যক্তিরা শর্টগানের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পক্ষে জমি বেচাকেনা ব্যবসা ও দখল নিয়ে রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। পাশপাশি বাড়ির বাসিন্দা এ দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় সময়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জেরে গত রবিবার রাতে রফিকুল ইসলামের অনুসারী নাওড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হোসেন নামে এক তরুণকে মোশারফের অনুসারীরা পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনার জেরে সোমবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে জানতে মোশারফ হোসেনের মোবাইলে কল করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার ছেলে নীরব হোসেন অভিযোগ করেন, রফিকুল ইসলামের লোকজন সোমবার সকালে বিনা উসকানিতে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের লোকজনের ওপর শর্টগানের গুলি ছোড়া হয়। তবে রবিবার রাতে নাজমুল নামের এক তরুণকে মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করেন নীরব।

বাড়িঘরে হামলার কথা অস্বীকার করেছেন মিজানুর রহমান। তার দাবি তিনি ঢাকায় আছেন। এমন কোনো সংঘর্ষের বিষয়ে তার জানা নেই। মিজান বলেন, আমি শুনেছি, নাজমুল নামের গ্রামের এক নিরীহ ছেলেকে রবিবার রাতে মারধর করেন মোশারফ ও তার লোকজন। এতে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সকালে গ্রামবাসীর ওপর আবারও মোশারফের লোকজন হামলা চালিয়েছেন বলে শুনেছি। হামলায় গ্রামবাসীর কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, পুরোনো বিরোধ থেকে রবিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জেরে সকালে তারা সংঘর্ষে জড়ান। এ ঘটনায় আটজন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন বলে জেনেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নাওড়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই মামলা করেনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close