লিটন ঘোষ জয়, মাগুরা

  ২৬ মার্চ, ২০২৪

মৃত্যুর আগে তিনি চান মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

সংগ্রামী বাঙালি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বীর শহীদ ও আড়াই লাখ মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে বাঙালি ছিনিয়ে আনে দেশের স্বাধীনতা।

মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনবাজি রাখা এক সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাগুরা শালিখা উপজেলার বৈখালি গ্রামের অরূপ কুমার বিশ্বাস। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিবাহিত অরূপ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘মরার আগে যদি মুক্তিযোদ্ধার সম্মানটুকু পেতাম তাহলে একটু শান্তিতে মরতে পারতাম।’ অরূপ কুমার বিশ্বাস মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর প্রতীক মো. গোলাম ইয়াকুব বাহিনীর হয়ে যুদ্ধকালীন জি-৪ কোম্পানি ৮নং সেক্টরের প্লাটুন কমান্ডার কাজী নূর মোস্তফার নেতৃত্বে নহাটা-মহাম্মাদপুর, জয়রামপুর, বুনাগাতি, বেরইল পলিতা, পাজারখালিসহ অন্যান্য এলাকায় সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তার অস্ত্র জমা দেওয়া সনদসহ রয়েছে বিভিন্ন আঞ্চলিক কমান্ডারের সনদপত্র। তার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ছিলেন শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান, পুলুমের শহিদুর রহমান, বামনখালির কাজী কামরুজ্জামান, সাবেক খাটর গ্রামের ময়েন উদ্দিনসহ অন্যরা। একসঙ্গে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা প্রায় সবাই পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। অথচ তার ভাগ্যেই আজও জোটেনি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা অরূপ কুমার বিশ্বাস আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বজ্রকেণ্ঠ যেদিন বলেছিলেন, ‘আমরা যখন মরতে শিখেছি; কেউ আমাদের দাবায় রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ আমার মতো লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার কাছে এটাই ছিল দেশকে স্বাধীন করার সবচেয়ে বড় অনুপ্ররেণা, সবচেয়ে বড় শক্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close