ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

  ১৯ মার্চ, ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, তুলকালাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাকের পলিপাস অপসারণে অস্ত্রোপচার (অপারেশন) করার জন্য অচেতন করার পর ওই ছাত্রের জ্ঞান ফেরেনি বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে জেলা শহরের পুরাতন জেলরোড এলাকায় আল খলিল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তিনজনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন কলেজছাত্রের বড় ভাই বাচ্চু মিয়া।

মারা যাওয়া কলেজছাত্র ইশতিয়াক আহমেদ ইকরাম (২২) সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের শহীদ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

এদিকে কলেজছাত্রের মৃত্যুর খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে এবং হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

ইশতিয়াকের স্বজনরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাকের সমস্যা নিয়ে শহরের জেল রোড এলাকার আল-খলিল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয় ইশতিয়াক। বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতালের ডাক্তার মো. রাফিউল আলম ও এনেস্থেসিয়া বিভাগের ফৌজিয়া আক্তার শক্তির তত্ত্বাবধানে তার নাকের পলিপাস অপারেশন করা হয়। এরপর অচেতন অবস্থায় তাকে শয্যায় দেওয়া হয়। এ সময় ইশতিয়াকের অবস্থা খারাপ দেখে পরিবারের লোকজন চিৎকার করেন।

এদিকে রোগীর জ্ঞান না ফেরায় হাসপাতালের লোকজন ইশতিয়াকের পরিবারের কাউকে না জানিয়ে শহরের আইসিইউ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তর করে পালিয়ে যান। সেখানে শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

ইশতিয়াকের চাচা শামছুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার অপারেশন করেছেন ডা. রাফিউল আলম। কিন্তু রাফিউল জানিয়েছেন, তিনি অপারেশন করেননি। ইশতিয়াকের সঠিক চিকিৎসা হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে।

ইশতিয়াকের মৃত্যুর ঘটনায় হাতপাতালের চেয়ারম্যান খলিলুর বশির মানিক, সার্জন মো. রাফিউল আলম ও এনেস্থেসিয়া বিভাগের ফৌজিয়া আক্তার শক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে তার পরিবার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পেয়েছি।

জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ্ বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজিমন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close