reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৪ জানুয়ারি, ২০২২

মেয়রের উন্নয়ন ভাবনা

প্রশংসা কুড়িয়েছে ই-রিকশা

আধুনিক, নিরাপদ, ডিজিটাল শহর গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। শহরকে পরিপূর্ণ ডিজিটালইজড করাসহ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার অভিযোগ গ্রহণ, সার্বক্ষণিক তদারকিসহ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে মেয়রের সঙ্গে পৌরবাসীর সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকবে এবং ডিজিটাল কমান্ড সেন্টার হবে-যার মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজ করা হবে। এরই মধ্যে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২১টি স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, আধুনিক ই-রিকশা চালু ও বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে, যা সারা দেশে প্রশংসিত হয়েছে। কথাগুলো বলছিলেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম নান্টু।

১৯৯৯ সালে ১২ দশমিক ৫ বর্গকিলোমিটার নিয়ে গঠিত হয় সিংড়া পৌরসভা। এরপর সীমানা বাড়িয়ে ৯টি থেকে বাড়িয়ে ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হয় এটি। আয়তন বেড়ে হয় ২২ দশমিক ৫ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে এই পৌরসভার জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। গত বছরের ৩০ জানুয়ারির পৌর নির্বাচনে মেয়র হন জান্নাতুল ফেরদৌস। এর আগে ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনেও মেয়র পদে জয়ী হন তিনি। এরপর ইউজিপ-৩ প্রকল্পের আওতায় পৌরশহরের প্রতিটি রাস্তায় সড়কবাতি, ১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২২ কিলোমিটার রাস্তা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো প্রকল্পের সাড়ে ১৪ কোটি, কুয়েত ফান্ড ১৬ কোটি টাকা দিয়ে ছোট রাস্তা এবং ড্রেন নির্মাণ করেন। ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়ে মাদ্রাসা মোড়ের খাল সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন করেছেন।

মেয়র বলেন, বর্তমানে নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নীতকরণ সেক্টর প্রকল্পের (ইউজিআইআইপি) আওতায় ২৬টি রাস্তা ও ৯টি ড্রেন নির্মাণ চলমান আছে। সে সঙ্গে শহর রক্ষা বাঁধ, পৌর শিশুপার্ক, পৌর মার্কেট, দমদমা মিনি স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ই-পরিবহন সার্ভিসের মাধ্যমে করোনাকালে সুরক্ষা ও লকডাউনে ঘরে ঘরে মানবিক খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে এই পৌরসভা।

গত নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েই যে উন্নয়ন কাজে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি সেগুলো হলো-পৌরসভার পর্যাপ্ত রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্ট তৈরি, শিশুদের মানসিক বিকাশ ও বিনোদনের জন্য একটি শিশুপার্ক নির্মাণ। এছাড়া কিচেন মার্কেট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ডাম্পিং স্টেশন, আধুনিক কসাইখানা, শহরের সৌন্দর্যবর্ধন, শহর পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, যাত্রী ছাউনি নির্মাণসহ নাগরিক নিরাপত্তায় আরো সিসি ক্যামেরা বসানো।

মেয়র আরো জানান, শহরের মধ্যদিয়ে বয়ে চলা গুড়নই নদীর পূর্বপাড় এরই মধ্যে শহররক্ষা বাঁধ এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পূর্ব পাড়টিও অনুরূপভাবে নির্মাণ করব। যাতে নদীভাঙন রোধ এবং নদীর সৌন্দর্য ও নির্মল বাতাস উপভোগ করতে পারেন নাগরিকরা। এছাড়াও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করতে চাই। এতে জনগণের উপকারের পাশাপাশি পৌরসভার আয়ও বৃদ্ধি হবে।

মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, নতুন প্রজন্মের নাগরিকদের বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানাতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ নানা স্থাপনা তৈরি করব। আধুনিক কালচারাল সেন্টার করব। যেখানে কবি-সাহিত্যিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মীদের চর্চার একটি জায়গা তৈরি হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close