মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৯

সুধী সমাবেশে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

অচিরেই স্মার্ট সিটিতে পরিণত হবে লাকসাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্টসহ নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। সরকারের এসব নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডঅব্যাহত থাকলে লাকসাম শিগগিরই স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরিত হবে। একই সঙ্গে লাকসাম নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজে মাস্টার্স কোর্স চালু করা হবে।

গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু পৌর কমিউনিটি সেন্টার কাম অডিটোরিয়াম এবং লাকসাম মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই দুটি প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ৪১ কোটি টাকা। এরই মধ্যে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু পৌর কমিউনিটি সেন্টার কাম অডিটোরিয়ামের জন্য খরচ হবে ২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ১২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে নেবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অতীতের ভঙ্গুর অর্থনীতি, খাদ্যঘাটতি, যোগাযোগ ও সামাজিক ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাস্তবভিত্তিক সুষ্ঠু ও টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি সেক্টরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে সার্বিক উন্নয়ন করে জনগণের জীবন মানের উন্নয়নের চেষ্টা করছে। এর ফলে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন বেড়েছে, কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং বাংলাদেশ এখন খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। জনগণের উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করছে বলেই উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ ও সমর্থন প্রয়োজন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের বর্ণনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন এবং সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়াবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের হুশিয়ারি করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জের কেউ অন্যায় কাজে জড়ালে ছাড় দেওয়া হবে না। দলের নেতাকর্মীরা যদি কেউ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিতে লিপ্ত থাকে, তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লাকসাম পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, কুমিল্লা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শাহজাহান মজুমদার, লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম সাইফুল আলম, লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুছ ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, কুমিল্লা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. সারোয়ার আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আবু তাহের, মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট তানজিনা আক্তার, কুমিল্লা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান, কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার আসাদুজ্জামান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের কুমিল্লা অঞ্চলের তত্ত্বাবধদায়ক প্রকৌশলী জহির উদ্দিন দেওয়ান, কুমিল্লা জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী খালেদুজ্জামান, মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা, কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, লাকসাম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়শী সাহা, লাকসাম পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাবারক উল্যাহ কায়েস, লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনায়েত উল্যাহ এফসিএ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা প্রমুখ।

ক্যাপশন লাকসামে ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম-

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close