তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও কর্ণফুলী ট্যানেল উদ্বোধন

আজ প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে যাচ্ছেন

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে উপমহাদেশের প্রথম টানেল নির্মাণের বোরিং কাজ এবং বহুল প্রতীক্ষিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসেওয়ের পিলার নির্মাণ উদ্বোধন করতে চট্টগ্রামে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৩ হাজার ৫ মিটার দীর্ঘ টানেল। অন্যদিকে, নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত চার লেনের ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬০ ফুট প্রশস্থ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, চট্টগ্রামবাসী স্বপ্নের দুই প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি পতেঙ্গায় সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করার সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, কর্ণফুলী টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) না আসায় এত দিন মূল বোরিং কাজ শুরু করা যায়নি। মাস কয়েক আগে চলে আসা একটি বোরিং মেশিন এরই মধ্যে সংযোজন করা হয়েছে। কম্পিউটারের সাহায্যে বোরিং কার্যক্রম উদ্বোধন এবং টানেল গেটের কাছে বোরিং পয়েন্টে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি যোগ দেবেন সুধী সমাবেশে। সেখানে দলীয় শীর্ষ নেতা ছাড়াও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, চার লেনের তিন দশমিক চার কিলোমিটার লম্বা এই টানেল নগরীর পতেঙ্গার নেভাল একাডেমি পয়েন্টে কণর্ফুলীর তলদেশে প্রবেশ করবে। নদীর অপর পাড়ে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) এবং চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) মাঝখানের খালি জায়গা দিয়ে টানেল আনোয়ারার সঙ্গে যুক্ত হবে। মূল টানেলের সঙ্গে উভয় প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে। নদীর তলদেশে এর গভীরতা হবে ১৮ থেকে ৩১ মিটার। চার লেনের টানেলে দুটি টিউব থাকবে। টানেলের ভেতরে দুটি টিউবে ওয়ানওয়ে গাড়ি চলাচল করবে। একটি টিউব ১০ দশমিক ৮ মিটার বা ৩৫ ফুট চওড়া এবং উচ্চতায় হবে ৪ দশমিক ৮ মিটার বা প্রায় ১৬ ফুট।

অন্যদিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৪৫০ পিলারের মধ্যে তিন শতাধিক জায়গায় মাটি পরীক্ষা বা সয়েল টেস্টের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যেসব জায়গায় সয়েল টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে, সেখানে পাইলিংয়ের কাজ শুরু করবে সিডিএ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার যানজট বহুলাংশে কমে যাবে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসেওয়ের সব জংশনে উঠা-নামার সুবিধা থাকছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম। এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৮ ফুট প্রস্থের নৌকা আকৃতির মঞ্চ। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চট্টগ্রামের দেড় হাজার সুধীকে। পুরো এলাকায় ভাষণ শোনানোর জন্য বসানো হয়েছে বেশকিছু উচ্চক্ষমতার সাউন্ড বক্স ও প্রজেক্টর।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রথম চট্টগ্রামে আগমন। তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্বও দিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় চলমান রয়েছে চট্টগ্রামের উন্নয়নযজ্ঞ।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের বোরিং কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী সিডিএ এর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের কাজও উদ্বোধন করবেন। এরপর পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close