নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য

ভারতে প্রতি মাসে ৪০০ মানব পাচার হয়

পিসিটিএসসিএন কনসোর্টিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, প্রতি মাসে বাংলাদেশ দেশ থেকে ৪০০ মানুষ (নারী ও শিশু) ভারতে পাচার হচ্ছে। মানব পাচার প্রতিরোধে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি থাকলেও পাচার বন্ধ হচ্ছে না। এজন্য সরকারকে দুই দেশের সমঝোতা চুক্তির মধ্যে ৭টি বিষয় দ্রুত বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করেছে। এ কনসোর্টিয়ামটি চারটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সমন¦য়ে গঠিত মানব পাচার বিরোধী একটি প্লাটফর্ম।

গতকাল রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পিসিটিএসসিএন কনসোর্টিয়ামের (প্রিভেনশন অব চাইল্ড ট্রাফিকিং থ্রো স্ট্রেঞ্জথেনিং কমিউনিটি অ্যান্ড নেটওয়ার্ককিং) পক্ষ থেকে এসব সুপারিশ ও তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পিসিটিএসটিএনের সদস্য ও নারীমৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইনসিডিন বাংলাদেশের ম্যানেজার অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান, কমিউনিটি পার্টিসিপেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সমন্বয়কারী শরিফুল্লাহ রিয়াজ, সিপের সমন্বয়কারী মো. জাহিদ হোসেন, মন্টি দেওয়ান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিগত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে লক্ষাধিক নারী ও শিশু ভারতে পাচারের শিকার হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিস্তৃত স্থল ও জলসীমা থাকার ফলে খুব সহজে নানা কৌশল ব্যবহার করে পাচারকারী চক্র এসব নারী ও শিশুদের পাচার করছে। পাচার হওয়া বেশিরভাগই নির্মম পরিণতির শিকার হচ্ছে। তারা আরো বলেন, পাচার হওয়া নারী ও শিশুদের নিয়ে যৌন দাসত্ব, জোরপূর্বক শ্রম, বাধ্যতামূলক শোষণমূলক শ্রম এবং অঙ্গ পাচার করে মুনাফা অর্জন করছে মানবতাবিরোধী চক্র।

লিখিত বক্তব্যে সরকারের কাছে পিসিটিএসসিএন কনসোর্টিয়ামের পক্ষ থেকে মানব পাচার প্রতিরোধে ৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ১. পাচারকৃতদের উদ্ধার ও প্রত্যাবর্তন এবং শিশুদের জন্য বিশেষ বিধানের ব্যবস্থা করা ২. প্রত্যাবর্তন কাজ দ্রুততম সময়ে করা এবং আন্তঃসীমান্ত বাহিনীর সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানো ৩. মানব পাচার প্রতিরোধে ভারত-বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং নিয়মিত সভার আয়োজন ও তথ্য বিনিময় করা ৪. দুই দেশের মধ্যে মানব পাচার প্রতিরোধে সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা ৫. পাচারের শিকার শিশুদের স¦াস্থ্য সেবার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া ৬. পাচার প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করতে দুই দেশের তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডাটাবেজ গড়ে তুলতে হবে ৭. পাচারকৃতদের উদ্ধারে বেসরকারি সংস্থার কাজে সরকারকে সহযোগিতা করা এবং ৮. পাচার প্রতিরোধে ভারত ও বাংলাদেশের সংগঠনগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close