প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১২ আগস্ট, ২০১৮

ফাঁসির ভয়ে দেশে আসতে চান না ‘বোমা’ মিজান!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার কাওসার ওরফে ‘বোমা’ মিজান তাকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠাতে আকুতি জানিয়েছেন। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) জিজ্ঞাসাবাদে মিজান আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে ফেরত পাঠালে আমার ফাঁসি হতে পারে।’

এই মিজান ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে দুই জঙ্গিসহ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় দুই সঙ্গী মারা গেলেও মিজান চোরাই পথে ভারতে পালিয়ে যান।

খাগড়াগর বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল হোতা হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে মিজানকে। এনআইএ ৬ আগস্ট ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর রামনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। বলা হয়, ৩৮ বছর বয়সী এই ‘বোমারু’ মিজান ছিলেন খাগড়াগড়-কান্ডের মাস্টারমাইন্ড এবং নিষিদ্ধ জেএমবির শীর্ষ নেতা। মিজানকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এনআইএ ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে।

এনআইএর গোয়েন্দারা মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরের কাছে খাগড়াগড়ের একটি ভাড়া বাড়িতে বোমা তৈরির জন্য বানানো কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণে দুজন জেএমবি জঙ্গির মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর প্রকাশিত হয়, বাড়িটি ছিল জেএমবির অস্ত্র কারখানার ঘাঁটি। ওখানেই তৈরি হতো গ্রেনেড ও বোমা। তা পাঠিয়ে দেওয়া হতো বাংলাদেশে। আর তার প্রধান কারিগর ছিলেন এই ‘বোমারু’ মিজান।

গ্রেফতারের পর মিজান বুঝতে পারেন, ভারত সরকার তাকে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ফিরিয়ে দিতে পারে। এনআইএর জিজ্ঞাসাবাদে মিজান আবেদন জানান, তাকে যেন বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো না হয়। ভারতেই যেন তার বিচার হয়।

এনআইএ এখন মিজানের কাছে জানতে চাইছে, কীভাবে তিনি ‘বই-বোমা’ ও ‘ফ্লাস্ক-বোমা’ তৈরি করেন। কারণ, এনআইএ জানতে পেরেছে, মিজান বই-বোমা ও ফ্লাস্ক-বোমা তৈরির জন্য ১৫০ জন বাংলাদেশি যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close