প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
প্রথম কলাম
ভারতে মন্ত্রীর বোনকে নিয়ে উধাও নড়াইলের যুবক
ভারতের উত্তর প্রদেশের এক মন্ত্রীর বোনের সঙ্গে প্রেম করে তাকে নিয়ে পালিয়ে রীতিমতো সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন বাংলাদেশি এক যুবক। নাটক, থিয়েটার বা সিনেমার গল্পের মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন সম্পদ অধিকারী নামে নড়াইলের ওই যুবক। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে মন্ত্রী এসপি সিংয়ের বোনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে নিয়ে পালান সম্পদ অধিকারী নামের ওই যুবক। পালিয়ে যান পশ্চিম বাংলার উত্তর চব্বিশ পরগনায়। প্রথমে বারাসতে এসে ঠাঁই নিলেও পরে আর তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ইউপি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ান মন্ত্রী ও তার ভাইয়েরা। সব রাজ্যে দুজনের ছবি দিয়ে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও নজরদারি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ধরা পড়লে সম্পদের কী পরিণতি হবে, তা আন্দাজ করা কঠিন নয়। তবে তার এই দুঃসাহসিক কীর্তি যে সিনেমার গল্পকেও হার মানাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জানা যায়, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে চলে যান সম্পদ। এসে বারাসতের কানাপুকুর এলাকায় জমি কিনে বাড়িও তৈরি করেন। তারপর সেই বাড়ি ভাড়া দিয়ে চলে যান উত্তর প্রদেশে বোনের কাছে। নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে দুলাভাইয়ের ওষুধের দোকানে বসতেন তিনি। এলাকায় হাতুড়ে ডাক্তার হিসেবে নামডাকও হয়। সেখান থেকেই মন্ত্রীর বোনের সঙ্গে পরিচয়। গত ১৬ মার্চ মন্ত্রীর বোনকে নিয়ে বিমানে চেপে কলকাতায় চলে যান তিনি। খোঁজখবর নিয়ে পরদিনই কলকাতায় আসেন মন্ত্রী এসপি সিং বাঘেলের ভাই ও ইউপি পুলিশ। প্রথমেই তারা বারাসতের কানাপুকুরে সম্পদের বাড়িতে হানা দেন। সেখান থেকে এলাকার কয়েকজন যুবক ও সম্পদের দুই আত্মীয়সহ মোট ছজনকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, ১৭ তারিখ রাতে সশস্ত্র কয়েকজন সম্পদের খোঁজে এসে ওই এলাকায় তা-ব চালিয়েছেন। খবরটি স্থানীয় কাউন্সিলর চম্পক দাসের কানে যায়। বিষয়টি জানার পর ইউপি পুলিশ ও মন্ত্রীর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপরই গোটা ঘটনা সামনে আসে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রীর ভাই নীরজ সিং জানিয়েছেন, সম্পদের সম্পর্কে সব তথ্য জোগাড় করেছেন তারা। বাংলাদেশে সম্পদের বাবা-মা থাকেন। সেখানে ইতি আধিকারী নামে একটি স্ত্রীও রয়েছে তার। তা সত্ত্বেও মন্ত্রীর বোনকে ফুঁসলে নিয়ে পালিয়েছেন তিনি। নিজেকে খুব বড়লোক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন সম্পদ। বারাসত, সুভাষনগর, বনগাঁসহ সম্পদের সব আত্মীয়দের বাড়িতে হানা দেয় ইউপি পুলিশ। বারাসতের কাউন্সিলর চম্পক দাস জানিয়েছেন, ‘মন্ত্রী এসপি সিং নিজে ফোন করেছিলেন। আমরা সবরকম সাহায্য করছি।’
"