স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশার প্রকোপ কমাতে দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশনে উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ বরাদ্দের মধ্যে ডেঙ্গু মোকাবিলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য ৩২ কোটি এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়ের জন্য ৮ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) জনসচেতনতা বাড়াতে ও প্রচারণায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (০৬ মারচ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ও শেষ অধিবেশনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় কার্যক্রম বিষয়ে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মো. তাজুল ইসলাম এ সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, পৃথিবীতে এডিস মশা বা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি। মানুষের সচেতনতাই হচ্ছে ডেঙ্গু প্রতিরোধের ৯০ শতাংশ হাতিয়ার আর বাকি ১০ শতাংশ টেকনিক্যাল বা ওষুধের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঢাকা শহরেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যেত। কিন্তু গত বছর থেকে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এখন ঢাকার বাইরেও তা ছড়িয়েছে। সেজন্য জেলা শহরেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এডিস মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় টিভিসি ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধন নিয়ে যে সমস্যাগুলো ছিল, সেগুলো সমাধানে কাজ করা হচ্ছে এবং অতি শিগগির জন্মনিবন্ধন সেবা সহজে মানুষের নাগালে পৌঁছে যাবে।

মো. তাজুল ইসলাম পরিবেশ সুরক্ষায় অবকাঠামো নির্মাণে ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কংক্রিট ব্লক ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও জানান।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী গ্রামীণ অবকাঠামোর ক্ষেত্রে একই রাস্তায় দুবার বরাদ্দ রোধে আইডি দেখে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান। তিনি বলেন, জলাশয় ও পানি সংরক্ষণের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।