reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৫ জানুয়ারি, ২০২৪

যুদ্ধপরবর্তী গাজার শাসন নিয়ে ইসরাইলের ‘নীলনকশা’ প্রকাশ

ফাইল ছবি

হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত শুরুর পর থেকেই অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দখল নিয়ে নানা কথা বলছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এবার গাজা ভূখণ্ডে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, যুদ্ধ শেষ হলে গাজায় হামাসের শাসনক্ষমতা মুছে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, হামাস আর গাজা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তবে নির্দিষ্ট কিছু শর্তের বিনিময়ে গাজা উপত্যকার শাসনক্ষমতা পাবে ফিলিস্তিনিরা।

তিনি বলেন, অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরাইল চাইলে পশ্চিম তীরের মতো যে কোনো সময় সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে পারবে। এ সময় গাজার সীমান্ত অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলি বাহিনীর হাতে থাকবে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) প্রকাশিত গ্যালান্টের চারটি পরিকল্পনার অধীনে প্রথমত যুদ্ধ শেষে ইসরাইল গাজার সার্বিক নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে। দ্বিতীয়ত আন্তর্জাতিক বাহিনী গাজা অঞ্চলের পুনর্গঠনের দায়িত্ব পালন করবে।

তৃতীয়ত এ পরিকল্পনায় মিশর একটি অনির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করবে। চতুর্থত আনুষ্ঠানিকভাবে গাজা অঞ্চলের শাসনক্ষমতা থাকবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে। এ সময় অঞ্চলটিতে কোনো ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিক থাকতে পারবে না বলে জানান তিনি।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যুদ্ধপরবর্তী গাজা অঞ্চলের শাসনভার পাওয়া ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দায় থাকবে অঞ্চলটি থেকে ইসরাইলের জন্য কোনো প্রকার হুমকি বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করার।

গ্যালান্টের মতে, শুধু সামরিক নয় বরং কোনোভাবেই গাজা অঞ্চলের বাসিন্দারা ইসরাইলের জন্য কোনো প্রকার হুমকি যাতে না সৃষ্টি করতে পারে তার দায়িত্ব থাকবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কয়েক ডজন লোক নিহত হওয়ার মধ্যেই গাজার শাসনক্ষমতা নিয়ে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসরাইল।

এছাড়া ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এমন সময়ে এই পরিকল্পনার কথা জানালেন যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চলতি সপ্তাহে গাজা যুদ্ধ শুরুর চতুর্থবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে সফরে আসছেন। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা ও ইসরাইলি নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে ব্লিঙ্কেনের।

মঙ্গলবার (২ জানুযারি) লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামাসের শীর্ষ নেতা সালেহ আল-আরৌরি হত্যার পর এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামাস আরৌরি হত্যার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে। তবে ইসরাইল হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও অস্বীকার করেনি।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বৈরুত,লেবানন,হামাস,গাজা,ইসরায়েল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close