নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৯ অক্টোবর, ২০১৯

২০১১ কক্ষ : ‘ঘোষিত’ টর্চার সেল

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন ১৭তম ব্যাচের ছাত্র আবরার ফাহাদ। এই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়। এই কক্ষে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র অমিত সাহা, উপদফতর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মুজতাবা রাফিদ, সমাজসেবা বিষয়ক উপসম্পাদক ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ইফতি মোশারফ ওরফে সকাল এবং প্রত্যয় মুবিন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এটি ছিল হল শাখা ছাত্রলীগের ঘোষিত টর্চার সেল। একটু ব্যতিক্রম হলে শেখানোর নাম করে জুনিয়রদের র‌্যাগ দেওয়া হতো।

এই কক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আলামত হিসেবে স্টাম্প, চাপাতি ও মদের বোতল উদ্ধার করেছেন। মদ্যপ অবস্থায় অনিক সরকার সবচেয়ে বেশি পেটায় আবরার ফাহাদকে।

২০১১ নম্বর কক্ষে খালি মদের বোতল বলে শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১৭ ব্যাচের ছাত্র সাখওয়াত অভিকে জোরপূর্বক সমাবেশে যেতে বাধ্য করেন ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা। সমাবেশে যেতে দেরি করলে অমিত তাকে প্রহার করলে হাত ভেঙে যায়। আঘাতে হাত ভাঙলেও তাকে বলতে বাধ্য করা হয়Ñ ‘সিঁড়ি থেকে পড়ে হাত ভেঙেছে’।

এ রকম নির্যাতন চললেও শিক্ষার্থীরা কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করেননি। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এই হলের ছাত্র হওয়ায় সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে।

হলে যে এ রকম ঘটনা চলত তা হল প্রশাসনের পোস্টারিংয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়। র‌্যাগিংকে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে হল প্রাধ্যক্ষের নম্বর দিয়ে ডিজিটাল ব্যানারও টাঙানো হয়েছে হল প্রাঙ্গণে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close